নামায পড়ে তো আমার কোনো লাভ হচ্ছে না

Why does not I benefit from prayerআমরা যখন নামাযে দাঁড়াই, তখন আমাদের মনের ভেতরে যে চিন্তাগুলো চলতে থাকে সেটাকে যদি কথায় প্রকাশ করা যায়, তাহলে তা দেখতে হবে অনেকটা এরকমঃ

আলহামদু লিল্লাহি … দেশের কি অবস্থা, চারিদিকে মারামারি, খুনাখুনি … মালিকি ইয়াওমিদ্দিন … আহ্‌ হা, গতকালকে পরীক্ষায় তিন নম্বর প্রশ্নের উত্তর তো ভুল লিখে এসেছি … ইয়াকা নাবুদু ওয়া ইয়াকা … মোরা একটি দেশকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি  ♫… কুল হু আল্লাহু আহাদ … আজকে মুরগি আর সবজি করবো, আর কিছু করতে ইচ্ছা করছে না … আল্লাহু আকবর … এটা কি দুই নম্বর রাকাত না তিন নম্বর? … সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ … ওহ্‌ হো, নামাযে নিয়ত করতে তো ভুলে গেছি, যাকগে কিছু হবে না … আল্লাহু আকবর  …

আমাদের বেশিরভাগেরই নামায পড়তে দাঁড়ালে এমন কোনো দুনিয়ার চিন্তা নেই, যেটা আসেনা। একজন একাউন্টেন্ট তার কঠিন সব হিসাব নামাযে দাঁড়িয়ে সমাধান করে ফেলেন। একজন প্রোগ্রামার তার প্রোগ্রামের বাগ গুলো ঠিক করে ফেলেন নামাযে দাঁড়িয়ে। একজন ডাক্তার কীভাবে অপারেশন করবেন, তার রিহার্সাল করে ফেলেন নামাযে দাঁড়িয়ে। আর তারপরে আমরা ভাবি: নামায পড়ে আমার তো কোনো লাভ হচ্ছে না! আমার ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহ তো তেমন বাড়ছে না! এত বার নামাযে আল্লাহর ﷻ  কাছে চাচ্ছি, তাওতো কিছু পাচ্ছি না। নামায পড়ে আসলেই কি কোনো লাভ হয়?

পড়, যা তোমাকে এই কিতাবে প্রকাশ করা হয়েছে, নামায প্রতিষ্ঠা কর, নিশ্চয়ই নামায মানুষকে অশ্লীল এবং অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখে… [আনকাবুত ২৯:৪৫]

নামায মানুষকে অশ্লীল কাজ এবং অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখবে, এই গ্যারান্টি আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে দিয়েছেন। এখন নামায পড়ে আপনি যদি অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকতে না পারেন, অন্যায় কাজ করা বন্ধ করতে না পারেন —তাহলে আপনি যা করছেন সেটা সত্যিই নামায, না কার্ডিও-ভাস্কুলার এক্সারসাইজ, সেটা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন।

কেন নামাযে দাঁড়ালেই আমাদের মাথায় পৃথিবীর যাবতীয় চিন্তা চলে আসে?

কারণ আমরা নামায শুরু করে দেই কোনো ধরণের প্রস্তুতি ছাড়াই। পরীক্ষা দেবার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রস্তুতি নেই। পরীক্ষার হলে এক ঘণ্টা আগে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। মন শান্ত করি, যাতে পরীক্ষার সময় অন্য কোন চিন্তা মাথায় না আসে এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারি। কিন্তু ﷻ আল্লাহর সামনে দাঁড়াবার আগে কোনো প্রস্তুতি নেই না। কাজ করতে করতে হঠাৎ করে উঠে ওজু করে, কাজের চিন্তা করতে করতেই নামাযে দাঁড়িয়ে যাই। তারপর কখন যে নামায শেষ হয়ে গেল, সেটা আর মনে থাকে না। আধা ঘণ্টা পর মনে হয়, যুহরের নামাযটা পরেছিলাম তো?

ধরুন, আপনি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেলেন যে, তিনি আপনার সাথে দেখা করবেন। ফেইসবুকের মাধ্যমে দেশের প্রতি অসামান্য অবদান রাখার জন্য আপনাকে নিজের হাতে ‘বুদ্ধিজীবী’ পদক দিবেন। আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হল প্রেসিডেন্টের দফতরে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে পদক নিয়ে আসতে।শুরু হল দিনের পর দিন প্রস্তুতি। আপনি মাস খানেক আগে থেকে চিন্তা করা শুরু করলেন, গিয়ে কি সালাম দিবেন, নাকি হাত বাড়িয়ে হ্যান্ড শেক করবেন। চুল পরিপাটি করে আঁচড়িয়ে, আপনার সবচেয়ে দামি কাপড়টা পড়ে তিন ঘণ্টা আগে গিয়ে তাঁর দফতরের সামনে বসে থাকলেন। মনে মনে রিহার্সাল শুরু করে দিলেন কী কথা বলবেন, কীভাবে দাঁড়াবেন, কীভাবে হাসবেন। প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করতে পারাটা একটা বিরাট সৌভাগ্যের ব্যপার। এরকম সুযোগ মানুষ জীবনে কয় বার পায়?

কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, সেই প্রেসিডেন্টের যিনি ঊর্ধ্বতন, যিনি সারা পৃথিবীর সকল প্রেসিডেন্টের উপরে কর্তৃত্ব রাখেন, তিনি আপনাকে সুযোগ দিয়েছেন প্রতিদিন পাঁচ বার তাঁর সাথে দেখা করতে পারার। আর আপনি তাঁর সাথে কীভাবে দেখা করতে যান?

এখন কেন নামায পড়তে গেলে আমাদের মাথায় সারা দুনিয়ার হাজারো চিন্তা চলে আসে? এর একটা মূল কারণ: শয়তান। শয়তান কোনভাবেই চাইবে না যে, আপনি নামায পড়েন। কারণ আপনি নামায পড়লেই সে হেরে গেল। এজন্য যখনি আপনি নামায পড়তে দাঁড়াবেন, সে সমস্ত শক্তি নিয়ে আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। একারণেই আমরা নামায শুরু করি শয়তানের কাছ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর ﷻ কাছে আকুল আবেদন করে—

আউ’যু বিল্লাহি মিনাশ শাইতয়ানির রাজিম – আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই বিতারিত শয়তানের কাছ থেকে।

আউ’যু হচ্ছে অসহায় ভাবে আশ্রয় চাওয়া। ছোট শিশু যেমন ভয় পেলে মায়ের কাছে দৌড়িয়ে যায় আশ্রয় নিতে, তেমনি আমরা অসহায় ভাবে আল্লাহর ﷻ কাছে সাহায্য চাই, যেন তিনি আমাদেরকে শয়তানের বাহিনী থেকে রক্ষা করেন। নামাযে এই কথাটি একটু আবেগ নিয়ে বলে দেখুন, একটু সময় নিয়ে চিন্তা করে দেখুন, দেখবেন কতটা পার্থক্য হয়।

নামাযে মনোযোগ দিতে না পারার আরেকটি বড় কারণ হল, আমরা সারাদিন দৌড়ের উপর থাকি। হাজারো কাজের মাঝখানে একটু সময় নিয়ে চুপচাপ বসে থেকে ঠাণ্ডা মাথায় নিজেকে চিন্তা করার সুযোগ দেই না। যার কারণে, নামায হয়ে যায় আমাদের একমাত্র মাথা পরিস্কার করার সময়। স্বাভাবিকভাবেই নামাযে দাঁড়ালে আপনার মাথায় সারাদিনের জমে থাকা চিন্তাগুলো চলে আসবে। সারাদিনের নানা অসহ্য ঘটনা, নানা মানুষের নানান কটু কথা, হাজারো দুশ্চিন্তা আপনার মনের ভিতরে যে চাপ সৃষ্টি করে, সেটাকে বের করার জন্য একমাত্র সুযোগ হচ্ছে মৌন একাকীত্ব। আপনি যদি নামাযের আগে কোনো মৌন সময় পার না করেন, তাহলে নামায হবে আপনার মাথা পরিস্কার করার একমাত্র সময়।

একারণে নামায শুরু করার আগে সময় নিয়ে, ধীরে সুস্থে, ভালোভাবে ওজু করুন, যাতে করে আপনি নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারেন মনের চাপ হালকা করার জন্য। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে দেখুন মাথার মধ্যে হাজারটা চিন্তা জ্যাম হয়ে আছে কি না। যতক্ষণ পর্যন্ত মাথা খালি না হচ্ছে, একাউন্টের হিসাব না মিলছে, কী রান্না করবেন,  ড্রাইভারকে কখন তেল আনতে পাঠাবেন ইত্যাদি ঠিক করতে না পারছেন— চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকুন। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে এক গ্লাস পানি খান। এধরনের কাজ আপনাকে শিথিল হবার সুযোগ দিবে, মনের চাপ হালকা করার সুযোগ দিবে। এছাড়াও নামাযে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলুন আপনি এখন কী অসামান্য একটা কাজ করতে যাচ্ছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন ভাবে নিজেকে কিছু কথা বলুন, যাতে অন্যমনস্ক অবস্থায় নামায শুরু করে না দেন। নামাযের গুরুত্ব নিজেকে মনে করিয়ে দিন, কত বড় এক সন্মানিত সত্ত্বার সাথে আপনি কথা বলতে যাচ্ছেন, সেটা নিজেকে আরেকবার মনে করিয়ে দিন।এসব করার পর নামায শুরু করলে আশা করা যায় আপনি নামাযে অনেক বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন, ইন শাআ আল্লাহ্‌।

আমরা অনেকে মনে করি আরবিতে নামায পড়লেই হল। নামাযে কী বলছি সেটা না বুঝলেও চলবে, আল্লাহ ﷻ তো বুঝবেই। কী বলছি, সেটার মানে কী, কেন বলতে হবে, বলে কী লাভ —আমাদের এতসব বোঝার দরকার নেই। তাছাড়া আশে পাশের সবাই তো দিব্যি আরবিতে কিছুই না বুঝে নামায পড়ে যাচ্ছে। তারা পারলে আমি কেন পারবো না?

ধরুন কু’রআন যদি আজকে চাইনিজ ভাষায় নাযিল হতো এবং আপনাকে যদি প্রতিদিন নামাযে দাঁড়িয়ে হাত তুলে বলতে হতোঃ

চেন চুন শি চুই ওয়েদা

ব্যপারটা কতখানি অদ্ভুত হতো, ভেবে দেখেছেন কি? কিছুই না বুঝে আরবিতে একই ধরণের কিছু শব্দ উচ্চারণ করাটা কি একই রকম অদ্ভুত ব্যাপার না? ব্যপারটা একটু সময় নিয়ে চিন্তা করলে আপনি বুঝতে পারবেন, কেন আল্লাহ ﷻ এই ভয়াবহ আয়াতগুলো নাযিল করেছেন—

আর তোমরা যা বোঝো না, তা অনুসরণ করবে না। নিশ্চয়ই শ্রবণ, দৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তা – এই সবগুলোর ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে।” [আল-ইসরা ১৭:৩৬]

আল্লাহ তাদেরকে কলুষিত করে দেন যারা তাদের বিচার-বুদ্ধি ব্যবহার করে না। [১০:১০০]

তারা কি কু’রআন সম্পর্কে চিন্তা করে না, তাদের অন্তর কি তালাবন্ধ? [৪৭:২৪]

আর তারা (জাহান্নামিরা) বলবে, আমরা যদি শুনতাম বা বুদ্ধি খাটাতাম তাহলে আজকে আমরা জাহান্নামিদের মধ্যে থাকতাম না। [৬৭:১০]

এই চারটি আয়াত নিয়ে আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের গভীর ভাবে চিন্তা করাটা খুব জরুরি, কারণ আপনি এই চারটি আয়াত নিয়ে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন যে, কিছুই না বুঝে নামায পড়ে, অথবা কিছুই না বুঝে আরবিতে দোয়া পড়ে আসলে কতখানি লাভ হয়। আপনি নিজেই উপলব্ধি করবেন কেন আমাদের দোয়াগুলো সহজে কবুল হয় না? কেন নামায পড়ে আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসে না? সঠিক ভাবে নামায পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ একজন মুসলমান এবং কাফিরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায। তাই এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটিতে কোনো ধরণের হেলাফেলা করার মতো বোকামি করাটা উচিত হবে না।

প্রতিটি আয়াত এবং দোয়া পড়ার পর নিজের ভাষায় সেটা একবার চিন্তা করুন: আয়াতটিতে এমন কী রয়েছে যেটা আপনি এর আগে কখনও ভেবে দেখেননি? একই সুরা পাঁচ ওয়াক্তে না পড়ে একেক ওয়াক্তে একেক সুরা পড়ুন। এভাবে চেষ্টা করুন নামাযের মধ্যে যতটুকু সম্ভব বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে। প্রতিদিন প্রত্যেক ওয়াক্ত নামায যদি একইভাবে, একই তালে, একই সুরা এবং দোয়া দিয়ে পড়েন, তাহলে আপনি কখনই নামাযে আগ্রহ এবং মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন না। আপনার মস্তিস্কের ১০% ক্ষমতা নামাযে ব্যয় হবে আর বাকি ৯০% ক্ষমতা ব্যয় হবে মাসের বাজেট, ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার অবস্থা এবং জীবনে কবে কী অর্জন করবেন —তার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করতে গিয়ে।

মনে রাখবেন নামায কোনো অনুষ্ঠান না যে, আপনি প্রতিদিন কয়েকবার কিছু গদ বাঁধা কথা বলবেন, উঠ‌-বস করবেন, ডানে-বায়ে তাকাবেন, আর আপনার জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন চলে আসবে। নামায হচ্ছে আপনার প্রভুর সাথে কথা বলার একটি বিশেষ উপলক্ষ। নামাযের প্রত্যেক সিজদায় এবং শেষ বসায় আল্লাহর সাথে নিজের ভাষায় কথা বলুন। আপনার জীবনে যত আনন্দ, যত সুখ, যত কিছু আপনি পেয়েছেন —তার জন্য তাকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিন এবং আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তারপর আপনার যত দুঃখ-কষ্ট, মনের মধ্যে চেপে রাখা যত অভিযোগ, যত ক্ষোভ —সব আল্লাহকে ﷻ বলে দিন। তিনি অবশ্যই তা শুনবেন এবং তাঁর মতো করে আপনাকে সমাধান দিবেন। মানুষের কাছে ঘ্যান ঘ্যান না করে, ফেইসবুকে দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে, শুধুই তাঁর কাছে সব সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া শেয়ার করুন। একমাত্র তিনিই পারেন আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে।

নামাযে মনোযোগ না আসার আরেকটি কারণ হল: বিনোদন। আজকালকার জেনারেশন যে পরিমাণের বিনোদনের মধ্যে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রাখে, তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। প্রতিদিন তারা পড়াশুনা বা কাজ শেষে ঘরে আসার পড়ে ঘণ্টা খানেক ফেইসবুক, ইউটিউব করে। তারপর ঘণ্টা খানেক গান শুনে। তারপর ঘণ্টা খানেক মোবাইলে গেম খেলে। তারপর ঘণ্টা খানেক ফোনে আড্ডা মারে। তারপর ঘণ্টা খানেক টিভি, না হয় মুভি দেখে। তারপর আবার ঘণ্টা খানেক কম্পিউটারে ফালতু ব্রাউজিং, না হয় গেম খেলা, না হয় বন্ধু বান্ধবের সাথে স্কাইপে চ্যাট। তারপর ঘণ্টা খানেক গল্পের বই। বিনোদনের কোনো শেষ নেই! প্রতিদিন এই বিনোদনগুলো না করলে তাদের কোনো ভাবেই চলে না! আর এই বিনোদনের ফাঁকে যখন একটু সময় পায়, তাড়াতাড়ি উঠে কোনো মতে নামাযে দাঁড়ায়। তারপর ভাবে, নামায পড়ে তো আমার কোনো লাভ হচ্ছে না?

আজকালকার জেনারেশনের মধ্যে চরম ধরণের ‘বিনোদনাসক্তি’ ঘটেছে। আগে কিশোর, তরুণ সমাজের সমস্যা ছিল মাদকাসক্তি। এখন যোগ হয়েছে বিনোদনাসক্তি। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা নিজেদেরকে বিনোদনে বুঁদ করে রাখতে না পারলে তারা ডিপ্রেশনে চলে যায়। যখন তারা বাথরুমে বসে থাকে, তখন তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে কোনো মুভির দৃশ্য, না হয় ব্রিটনি স্পিয়ার্সের লাফালাফি। যখন ঘুমাতে যায়, বিছানায় শুয়ে শুয়ে হিন্দি গান গুণ গুণ করতে থাকে। পড়তে বসে ভাবতে থাকে কীভাবে ‘কল অফ ডিউটি’-তে একশো ফুট দূর থেকে স্নাইপার দিয়ে শত্রুর মাথায় গুলি করে তার খুলি ফাঁক করে দেওয়া যায়। এদের মাথা ভর্তি গিজগিজ করে এরকম হাজার রকমের আবর্জনা। এত আবর্জনা নিয়ে যখন তারা নামায পড়তে দাঁড়ায়, কিভাবে তাদের আল্লাহর কথা মনে হবে? মস্তিস্কের কোনো ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকতে হবে তো ভালো কিছু চিন্তা করার জন্য!

আসুন আমরা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি নামাযে আমরা কী বলি। কেন আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে দিনে পাঁচবার পড়ালেখা, কাজকর্ম, সংসার সবকিছু ভুলে গিয়ে গভীর মনোযোগের সাথে আল্লাহকে ﷻ নিয়ে ভাবতে বলেছেন, তাঁর বানীগুলো নিজেকে বার বার মনে করিয়ে দিতে বলেছেন, তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন —সেটা উপলব্ধি করি। বিশ্ব জগতের সর্বোচ্চ ক্ষমতার সামনে প্রতিদিন পাঁচ বার দাঁড়াবার সন্মান পেয়েছি আমরা। এই বিরাট সন্মানটির যথার্থ মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি এই আয়াতে আল্লাহ ﷻ  যাদের কথা বলেছেন, একদিন তাদের মতো হতে—

সেই বিশ্বাসীরা কতই না সফল, যারা গভীর মনোযোগের সাথে নামায পড়ে এবং ফালতু কথা থেকে দূরে থাকে। [মু’মিনুন ২৩:১-৩]

সূত্র:

  • Achieving “Khushu” and a positive state of mind: http://www.iqrasense.com/islamic-topics/achieving-khushu-and-a-positive-state-of-mind.html
  • Your Brain at Work by David Rock. http://www.your-brain-at-work.com/
  • Salah Tips: http://www.islamtomorrow.com/salah_tips.asp
  • Disturbed by Waswaas: http://islamqa.info/en/25778

man-praying

By ওমর আল জাবির

কু'রআনকে গভীরভাবে ভালবাসি। সত্যকে জেনে, তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে অন্যদেরকে অনুপ্রেরণা দেবার চেষ্টা করি।

59 comments

  1. Ami Islam dhormer onushari noi. Kintu pray e bibhinno dhormo ebong Islam related post gulo pori, jokhon shujog pai. Ei post ta pore bhalo laglo.

    Shundor post.

    J kono dhormabolombi manush er e ki bhabe prayer kora uchit, tar ek ta shundor dik nirdeshona ache ei post e.

    Thumb’s up. 🙂

  2. Vaijan ki COD player naki?
    Anyways, bhalo laglo. Oti binodon asholei ekta kharap nesha, ei lekhatao porchilam binodoner sharthei, kintu bhalo laglo. (y) . Dekhi aj theke matha thanda rekhe prostuti nie namaz porar cheshta korbo.

  3. আমি সৌদী আরবে চাকুরি করার সময় সৌদী লোকজনের সাথে কথা বলে বুঝেছি…তারাও নামাজের মধ্যে মনযোগী হতে পারে না! অথচ তারা সূরার মানে বোঝে। এ বিষয়ে আপনার মতামত/ভাবনা জানালে খুব খুশি হবো।

    1. মানে বোঝাটা একটি অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। কিন্তু নামায পড়ার আগে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া, যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো এবং ‘বিনোদনাসক্তি’ থেকে মুক্ত থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। ঈমানের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হচ্ছে পরিস্কার মন। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আজকাল আমাদের মাথা ভর্তি হাজার হাজার আবর্জনা গিজগিজ করে যেগুলো আমরা নামাযে দাঁড়িয়ে রিভিশন দেই। একারণেই নামাযে মন বসে না। আমরা যে পরিমাণের প্রস্তুতি নিয়ে চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে যাই, তার ধারে কাছে কোনো প্রস্তুতি নিয়ে আল্লাহর সামনে ইন্টার্ভিউ দিতে যাই না।

  4. আচ্ছা অমুসলিমদের কি হবে ?? তারা নামায রোজা কিছুই রাখে না !! তারা যদি ব্যাক্তি জীবনে ভালো ও হয় তবু ও কি তারা দোজখে এ যাবে ???

    1. প্রশ্ন হচ্ছে অমুসলিম বলতে কি বোঝায়?
      যাদের আরবি নাম নেই, যাদের বাবা-মা মুসলিম নন তারাই কি অমুসলিম?
      যাদের বাবা-মা মুসলিম, যাদের নামের মধ্যে কিছু আরবি শব্দ আছে, কিন্তু তারা নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, তারা কি মুসলিম?

      আমরা জানি কাফির এবং মুশরিকরা জাহান্নামে যাবে। যাদের কাছে আল্লাহ্‌র বাণী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা জেনে বুঝে তা অস্বীকার করেছে, তারা কাফির। তারা জাহান্নামে যাবে।

      কিন্তু যাদের কাছে ইসলাম পৌঁছে দেওয়া হয়নি, তাদের বেলায় কাফির প্রযোজ্য নয়।
      “We do not punish until We send a Messenger.” (Qur’an 17:15)

      শেখ হামযা ইউসুফের এই ছোট বইটি পড়ে দেখুনঃ
      http://sandala.org/wp-content/uploads/2011/04/Who-are-the-Disbelievers.pdf

      http://islamqa.org/hanafi/seekersguidance-hanafi/31707

  5. আপনি ঠিক আমার মনে যা যা ঘটে সব বলে দিয়েছেন। সামনে থেকে মাথায় রাখব ব্যাপারগুলো !

  6. আপনি আমার যতটুকু অস্থিরতা কমালেন, নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা তার বিনিময়ে আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবে।

  7. নিশ্চই আল্লাহ সুভানাহুতায়ালার প্রতি পূর্ণ আনুগত্যই কেবল আপনার নামাজকে সুন্দর ও কার্যকর করতে পারে।

  8. প্রত্তেক মানুষের বাক্তি চাহিদার সংখ্যা মানের নিয়ন্ত্রন এবং কোরআনএ লিপিবদ্ধ আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালার বিধান নিশ্চই আপনার জীবনকে সুন্দর কোরবে।

  9. “আর তোমরা যা বোঝো না, তা অনুসরণ করবে না। ” শুধুমাত্র এই আয়াত উপস্তাপন করায় ভুল বোঝার অবকাশ রয়েছে, যেমন, যেহেতু আরবি বুঝি না সেহেতু আরবির কোন বিষয় অনুসরণ করবে না !! সঠিক বুঝ অয়ালাদের জন্য এই আর্টিকেলটি উপকার দেবে, নতুবা ভুল বোঝার অবকাশ রয়েছে। আমার মতে নামাযের গুরুত্ব, প্রয়জন তারপর লাভ বিষয় আলোচনা একই আর্টিকেলে হওয়া দরকার ছিল। গুরুত্ব এবং প্রয়জন যদি আমরা না বুঝি, তাহলে লাভ বিষয়টি আনুধাবন কি ভাবে আসবে। হয়ত বলেই ফেলতে পারি “যুদ্ধেই যাব না”, আল্লাহ আমাদের সঠিই বুঝ ডান করুন।

  10. I am very grateful to Allah that I found your page which is very helpful for me as i tend to analyze everything before believing as well. i came to know about your site through fbuk… and I am slowly reading all your articles…. thats why i like fbuk coz at least once in a while we get see some good shares.

    May Allah bless you and your effort.

  11. Very important topic to analyze our mind set and understanding Islam. May Allah (swt ) guide us to practice Quran in life.

  12. ভাই লিখাটা পড়ে খুবই ভাল লাগলো। আমিও COD খেলি তাই ওই জায়গাটা পড়তে গিয়ে এক্তু হেসে দিলাম। যাক এখন থেকে চেষ্টা করবো ভাল ভাবে মনোযোগ দিয়ে নামায পড়তে। লিখাটির জন্য ধন্যবাদ (Y) 🙂

  13. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ)

    শরীয়তে প্রাণির ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা হারাম। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিনে ওই ব্যক্তির সবচাইতে কঠিন শাস্তি হবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা আঁকে।” (‘বুখারী শরীফ’)

    কুফরী আক্বীদা যারা বিশ্বাস করে তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা বরং তারা ৭২টি বাতিল ফিরক্বাহর অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে। তখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! যে একটি দল নাযাত প্রাপ্ত, সে দলটি কোন দল? হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি এবং আমার সাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মত ও পথের উপর যারা কায়েম থাকবে, (তারাই নাযাত প্রাপ্ত দল)।” ( তিরমিযী শরীফ)
    অতএব, বর্তমান যামানায় বাতিল 72 ফিরকা চিনতে নিম্নে উল্লিখিত সাইটগুলো পড়া অবশ্যই সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ



    বিশেষ করে লিখককে বলছি আপনি উল্লিখিত সাইটগুলো পড়ুন, ফিকির করুন এবং হক্ব পথে আসুন।

    1. আপানার কমেন্টগুলো অপ্রাসঙ্গিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কিছু বিতর্কিত ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য। ওয়েব সাইটগুলোতে বিতর্কিত হাদিসের ছড়াছড়ি, যার বেশিরভাগ সহিহ নয়। অনুগ্রহ করে এরকম করবেন না। আল্লাহকে ﷻ ধোঁকা দিয়ে লাভ নেই, তিনি খুব ভালো করে জানেন আপনার অন্তরের ভেতরে কি উদ্দেশ্য আছে যেটা আপনি জেনেও না জানার ভান করছেন। সেলফ ডিলিউসন একটা ভয়ংকর রোগ যা আজকাল মহামারী পর্যায়ে চলে গেছে। দোয়া করি আল্লাহ ﷻ আপনাকে অন্তরের উদ্দেশ্য এবং কাজের মধ্যে মিল রাখার তৌফিক দিন।

  14. প্রথমেই জানতে চাই আপনি কি আহলে হাদীস, ওয়াহাবী, সালাফী, খারিজী, লা-মাযাবী আক্বিদার? যদি উল্লিখিত একটি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ষ্পষ্ট বাতিল 72 ফিরকার, পথ ভ্রষ্ট, গুমরাহ। নিজে একটি সাইট খুলে সহজ সরল মানুষকে ধোকা দিচ্ছেন। আর অন্যকে বলছেন সেলফ ডিলিউসন রোগী। অন্যের উপর মিথ্যা তোহমত! আল্লাহ পাক আপনাকে হিদায়েত দিক।
    নিজে হরদম ছবি তুলছেন, হারাম টি.ভি তে প্রোগ্রাম করছেন, বেপর্দা হচ্ছেন, হারাম ছবি ও ভিডিও সম্বলিত লিখা পোষ্ট করছেন। অথচ হাদীস শরীফে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিনে ওই ব্যক্তির সবচাইতে কঠিন শাস্তি হবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা আঁকে।” (‘বুখারী শরীফ’)। যালিম কাফিরদের সুরত ধরেছেন, দাড়ি ডিজাইন করছেন, কাফিরদের পোষাক পরছেন। নিজের মাঝে সুন্নতের কোন লেশ মাত্র নেই। যিনারা হক্ব সিলসিলার উনাদের উপর মিথ্যা তোহমত দিচ্ছেন। কে আল্লাহ পাক উনাকে ধোকা দিচ্ছে, আপনারা না আমরা?। আসলে আল্লাহ পাক উনাকে কেউ ধোকা দিতে পারে না। আপনি / আপনার নিজেরা নিজেদেরকেই ধোকা দিচ্ছেন। এখনো সময় আছে হক্ব পথ ও মত গ্রহণ করুন। আবারো নিচে সাইটগুলোর এড্রেস দিচ্ছি। বুকে সাহস থাকলে, আর ইলমের এতোই জোর থাকলে দলিল দিয়ে প্রমাণ দিবেন।

    ….
    ….[বিভ্রান্তিকর ওয়েবসাইট ছড়াবেন না]
    ….

    হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ)
    এই হাদিস শরীফ খানা মানেন? বলেন তো বর্তমান যামানার মুজাদ্দিন কে?।

    “সত্য এসেছে মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। অবশ্যই অবশ্যই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ারই যোগ্য। (সুরা-ইসরাঃ81)
    ধ্বংস হউক বাতিল 72 ফিরকার দল। তাদের চেলা চামুন্ডা ধ্বংস হউক। তারা ধ্বংস হবেই হবে। আমিন।

    1. আমি কোনো দলের নই, আমি শুধুই একজন মুসলিম। আল্লাহ ﷻ কু’রআনে মু’মিনের যে হাই স্ট্যান্ডার্ড দিয়ে রেখেছেন, চেষ্টা করছি তার কাছাকাছি যাবার। আপনার কাছে আমার আক্বীদা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি কিয়ামতে আমার বিচার করবেন না, আল্লাহ করবেন। আমার আক্বীদা আল্লাহ ﷻ ভালো করেই জানেন।

      আপনি সুন্নতি হবার যে উদাহরণগুলো দিলেন, আফ্রিকানদের মতো জুব্বা পড়া বা পাকিস্তানীদের মতো সালওয়ার কামিজ পড়া , টিভিতে কোনোদিন না আসা ইত্যাদি, তাহলে আপনার সংজ্ঞা অনুসারে শেখ ইয়াসির কাজি, শেখ আসিম আল হাকিম, জাকির নায়েক, ইয়াসির ফাসাগা সহ যত আ’লিম আছে এদের বেশিরভাগই কাফির। এই যদি আপনার আক্বীদা হয়, তাহলে আমি চিন্তিত আপনি কোন cult এর অনুসারী। আমি এখনও পর্যন্ত এধরনের কাল্ট দেখিনি। তবে দাঁড়ির ব্যাপারটা ভালো বলেছেন। দোয়া করুন আল্লাহ ﷻ যেন আমাকে মালয়েশিয়ানদের মতো একটু খানি দাঁড়ি না দিয়ে ভাইকিংদের মতো বিরাট দাঁড়ি দেন, তাহলে যারা মানুষের দাঁড়ির পরিমাণ দেখে তার আক্বীদা মেপে দেখে, তারা আর আমাকে সন্দেহ করবে না।

      প্রত্যেক দলের অনুসারীরাই মনে করে তারা ঠিক, বাকি সবাই ভুল, আর তারা ছাড়া বাকি সবাই জাহান্নামে যাবে। এদেরকে নিয়ে একটা সুন্দর উক্তি পড়েছিলাম—
      The great scholar Ibn al-Qayyim explained it beautifully. There are three stages of knowledge:
      First stage: Arrogance (the feeling that I know a lot and a tendency of bilittling other people of knowledge)
      Second stage: Humbleness (start appreciating knowledge and people of knowledge)
      Third stage: Ignorance (the realization that I know very little)

      আপনি কোনো মুসলিমকে কাফির বা ফাসিক বা মুনাফিক বলার আগে একবার নিজে কু’রআন পুড়োটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থ বুঝে পড়ে দেখেন আল্লাহ ﷻ কাফির, ফাসিক, মুনাফিকের কী সংজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন। আর নিচের সাহিহ হাদিসটি ভালো ভাবে চিন্তা করুন—

      Abu Dhar (RA) narrated that he heard the Prophet (SAS) saying, “If somebody accuses another of Fusuq (by calling him ‘Fasiq’ i.e. a wicked person) or accuses him of Kufr, such an accusation will revert to him (i.e. the accuser) if his companion (the accused one) is innocent.” [Volume 8, Book 73, Number 71, Bukhari]

      আমার পেছনে খামোখা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। আপনার নিজের ভেতরে বিরাট সমস্যা আছে, আগে সেটা নিয়ে চিন্তা করুন।

      “৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামে যাবে” — সুনানে আবু দাউদ বই ৪২ হাদিস নম্বর ১, সুনান ইবন মাজাহ বই ৩৬ হাদিস নম্বর ৪১২৭, জামি’আত তিরমিযি বই ৪০ হাদিস নম্বর ৩৫ — এই হাদিসটি হাসান হাদিস। এমনকি আহাদ ঘারিব সাহিহও নয়, মুতায়াতির সাহিহ তো দুরের কথা। এমন একটা তৃতীয় শ্রেণীর হাদিস দেখিয়ে আপনি পৃথিবীর বেশিরভাগ মুসলিমদের আক্বীদা নিয়ে আক্রমণ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে জাহান্নামি বলছেন, বোঝাই যাচ্ছে আপনার ইসলামের আক্বীদায় জ্ঞান শিশুতুল্য। আপনাকে অনুরোধ করবো আমার জাল হাদিসের উপর লেখা আর্টিকেলটি পড়তে—
      http://blog.omaralzabir.com/2012/12/03/fabricated-hadeet/

      আপনার আক্বীদা এবং ভাষা দেখে আমি অনুমান করছি, আপনার ইসলামিক স্টাডিজে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই। যদি না থাকে, তাহলে আপনাকে অনুরোধ করবো শীঘ্রই ইসলামিক স্টাডিজে নুন্যতম একটা বেচেলারস ডিগ্রি নিয়ে নিন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাষার পরিবর্তন হবে —ইন শাআ আল্লাহ। আর যদি থাকে, তাহলে ক্ষমা চাচ্ছি।

      আমি আর কমেন্ট করবো না এবং আপনাকেও অনুরোধ করবো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। একজন মুসলিম হিসেবে আমরা একে অন্যের জন্য একমাত্র যা করতে পারি তা হলো, আল্লাহর ﷻ কাছে হেদায়েতের জন্য দু’আ। সবশেষে কু’রআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করি—

      The servants of the Lord of Mercy are those who walk humbly on the earth, and who, when the foolish address them, they reply with peaceful words. [25:63]

      সালাম।

  15. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ)

    আমার প্রশ্ন এই পর্যন্ত কতজন মুজাদ্দিন এসেছেন, উনাদের নামের তালিকা আপনার কাছে আছে কি? আর বর্তমান যামানার মুজাদ্দিন কে আপনার জানা আছে কি?
    আর না জানলে জেনে নিন এখান থেকে- xxx

    1. কু’রআনের মুজাদ্দিদের কোনো উল্লেখ নেই। কোনো সাহিহ হাদিসও পেলাম না এনিয়ে। আবারো বলছি, যদি একটা মুতাওয়াতির সাহিহ হাদিস থাকতো, তাহলে ভেবে দেখতাম। যদি একটা আহাদ ঘারিব সাহিহ থাকতো, তাও কিছুটা চিন্তা করতাম। কিছুই নেই। এসব তৃতীয় শ্রেণীর হাসান হাদিস মেনে চলার কোনো কারণ দেখছি না।

      যেই জিনিস কু’রআনে নেই, সেটার কোনো ১০০% ভাগ নিশ্চয়তা নেই—শেষ কথা। সেটা যেই হাদিস বইয়েই থাকুক না কেন, কোনোভাবেই সেটা ১০০% নিশ্চিত নয়। একমাত্র আল্লাহর ﷻ বাণী হচ্ছে ১০০% সত্যি।

      মুজাদ্দিদ যদি থেকে থাকেন, ভালো কথা। তিনি তার কাজ করে যান, আমি আমার কাজ করে যাই। আমার প্রথমে কু’রআন নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে, তারপর হাদিস নিয়ে যে হাজার হাজার বিভ্রান্তি আছে, সেটা পরিষ্কার করার জন্য মুজাদ্দিদ সাহেবের জন্য অপেক্ষা করবো।

      মুসলিমদের সমস্যা হলো তাদের sense of priority একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কু’রআন পুরোটা বার বার বুঝে পড়ে কু’রআনের নির্দেশ সবগুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার কোনো খবর নেই। তারপর কু’রআন শেষ করে মুতাওয়াতির সাহিহ হাদিসগুলো সবগুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার কোনো খবর নেই। তারা উঠে পড়ে লেগেছে সব তৃতীয় শ্রেণীর হাসান হাদিসের পেছনে, এবং অনেককে দেখছি দিনরাত যায়িফ এবং মাওদু হাদিস নিয়েও দৌড়াদৌড়ি করে যাচ্ছে। হাদিসের প্রকারভেদ, কোনটার উপর আমল করা যাবে, কোনটার উপর যাবে না—এসব নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, কিন্তু এদিকে গণ হারে হাসান হাদিস প্রচার করে যাচ্ছে—যেগুলো কি না অনেক মুহাদ্দিস বলে গেছেন এর উপর আমল করা যাবে না।

      আমি আগে কু’রআন পুরোটা ঠিকমতো বুঝে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করি, তারপর সাহিহ হাদিস বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো, তারপরে হাসান, যায়িফ, মাওদু হাদিসগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে দেখবো। কিয়ামতের দিন আল্লাহ ﷻ আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, “কু’রআনের সবগুলো আয়াত পড়ে বুঝে নিজের জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলে?”, তখন আমি যদি বলি, “ইয়ে মানে, আমি অনেকগুলো সাহিহ হাদিস এবং হাসান হাদিস কিন্তু করেছি, ওগুলো দিয়ে কাজ হবে না?” — আপনার কি মনে হয়, আল্লাহ ﷻ আমাকে ছেড়ে দিবেন?

      আসুন আমরা আমাদের sense of priority ঠিক করি।

      বিঃদ্রঃ আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন আপনার কিছু ওয়েবসাইট প্রচার করার জন্য। অনুগ্রহ করে একজন মুসলিম হিসেবে কিছুটা হলেও চক্ষুলজ্জা বজায় রাখুন। আমি এর মধ্যে তিনবার আপনাকে বলেছি আমি ওইসব সাইট পাবলিশ করবো না।

    2. আরেকটি ব্যাপার, শেখ আলবাণী সেই ৭৩ দলের হাদিসকে হাসান বলে গেছেন। আহলে সুন্নাহ আল জামাহ এর অনুসারীরা আলবাণীকে মুহাদ্দিস মানেন এবং তার হাদিস বিশ্লেষণকে ত্রুটিপূর্ণ মনে করেন।

      حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ، نَحْوَهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْهَوْزَنِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ فِينَا فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ ‏”‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ يَحْيَى وَعَمْرٌو فِي حَدِيثَيْهِمَا ‏”‏ وَإِنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَجَارَى بِهِمْ تِلْكَ الأَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلْبُ لِصَاحِبِهِ ‏”‏ ‏.‏ وَقَالَ عَمْرٌو ‏”‏ الْكَلْبُ بِصَاحِبِهِ لاَ يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلاَ مَفْصِلٌ إِلاَّ دَخَلَهُ ‏”‏ ‏.‏

      Grade: Hasan (Al-Albani) حسن (الألباني) حكم:
      Reference : Sunan Abi Dawud 4597
      In-book reference : Book 42, Hadith 2
      English translation : Book 41, Hadith 4580

      حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ افْتَرَقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى أَوْ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَتَفَرَّقَتِ النَّصَارَى عَلَى إِحْدَى أَوْ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً ‏”‏ ‏.‏

      Grade: Hasan Sahih (Al-Albani) حسن صحيح (الألباني) حكم:
      Reference : Sunan Abi Dawud 4596
      In-book reference : Book 42, Hadith 1
      English translation : Book 41, Hadith 4579

      সুতরাং আপনি যে দাবি করছিলেন এই হাদিসটা সাহিহ, ভুল। এটি হাসান।

      আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে একটা মন্তব্য ছিল যে, কোথায় কু’রআনে, হাদিসে বলা আছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাগবে, তার প্রমাণ দিতে। হাস্যকর!

      আমি যদি আমার ব্রেইন সার্জারি করতে যাই, তাহলে আমি পাঁচ বছর মেডিকেল পড়াশুনা করে ডিগ্রি নেওয়া এক ডাক্তারের কাছে যাবো, যে জীবনে বহু পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, যার জ্ঞান আরও বহু অভিজ্ঞ মানুষ যাচাই করে তাকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। পাঁচ বছর ঘরে বসে কয়েকটা বই পড়ে কেউ যদি দাবি করে তার কাছে ব্রেইন সার্জারি করতে যেতে, আমি নিশ্চয়ই তার কাছে যাবো না। আক্বীদার ব্যাপারগুলো ব্রেইন সার্জারি থেকেও বেশি স্পর্শকাতর। ব্রেইন সার্জারি ভুল হলে বড় জোর মারা যাবো, আক্বীদা ভুল হলে চিরজীবন জাহান্নামে যাবো।

  16. লা মাযহাবী সালাফীদের অনেক নাদানকে দেখা যায় তারা মাযহাব পন্থীদের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলতে !
    তারা বলে থাকে আমরা কোন মাযহাব মানি না , আমরা শুধু কুরআন শরীফ হাদীস মানি !!
    কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা তাদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমল করে থাকে !!
    যেমন কোন কোন ক্ষেত্রে দলীল হিসাবে হাদীস শরীফ পেশ করা হলে, তারা বলে এগুলে সহীহ নয় , বুখারী মুসলিম থেকে হাদীস দিতে হবে !!
    অন্যান্য কিতাবের হাদীস শরীফ নাকি সহীহ না !
    নাউযুবিল্লাহ !!
    তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ বুখারী শরীফ এবং মুসলিম শরীফ সহীহ এই কথা তারা কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ থেকে প্রমাণ করবে !
    আর অন্যান্য কিতাব যে সহীহ না এ কথাটাও কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ থেকে প্রমান দিবে !!!
    কোন ইজমা , ক্বিয়াস, ইমাম মুস্তাহিদ এর দলীল দিতে পারবে না !
    ক্ষমতা থাকলে যেন প্রমান করে !!!

    1. ঠিক বলেছেন, কোনো বিশেষ কিতাবের সব হাদিস সাহিহ এটা দাবি না করে প্রতিটি হাদিসকে আলাদা ভাবে সাহিহ হবার পাঁচটি শর্ত দিয়ে যাচাই করতে হবে। আমার মনে হয় সেই পরীক্ষায় সাহিহ বুখারি এবং সাহিহ মুসলিমের ‘বেশিরভাগ’ হাদিস পাস করবে। তবে অবশ্যই, কোন মুহাদ্দিস সেই হাদিসগুলোকে প্রমাণ করছে এবং কোন প্রমাণ তার কাছে গ্রহণযোগ্য, কোনটা তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সেটাও দেখতে হবে। একারণেই তো পৃথিবীতে দুজন মুহাদ্দিস পাওয়া কঠিন যারা সবসময় একজন অন্যজনের সব সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়।

  17. যদি তাই মনে করেন তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ)। এ হাদিসখানা সহ অন্যান্য যেই হাদিসসমূহ আপনাদের মনপূতঃ না হয়, আপনারা সেগুলোকে জাল, হাসান প্রমাণে উঠে পড়ে লেগে যান। আল্লাহ আপনাদের দ্বীনের সহি বুঝ দান করুন। আর মুজাদ্দিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ব্যাপারে আপনার আরো পড়াশুনা করা দরকার। বিশেষ করে যিনি এক হাজার হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানি রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ব্যাপারে সকল আউলিয়া কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম একমত যে উনি মুজাদ্দিদ। আর এই একমত হওয়ার ব্যাপারে উক্ত হাসিদ শরীফখানা দলিল। পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়ে সকলেই একমত তিনিও মুজাদ্দিদ। আমার পরামর্শ আপনি বিগত সকল হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের জীবনী পাঠ করুন এবং ফিকির করুন। যিনার সকলেই আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরেমুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট মকবুল। উনাদেরকে অনুসরণ করুন। আল্লাহ পাক সুরা ফাতেহা শরীফে উনাদেরকেই অনুসরণ করার কথাই বলেছেন। অথচ আশ্চার্য বর্তমানে যারা উনাদের বিরোধীতা করে যাচ্ছেন তাদেরকে আপনি অনুসরণ করছেন। যারা হরদম ছবি তুলছেন, হারাম টি.ভি তে প্রোগ্রাম করছেন, বেপর্দা হচ্ছেন, হারাম ছবি ও ভিডিও সম্বলিত লিখা পোষ্ট করছেন। অথচ হাদীস শরীফে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিনে ওই ব্যক্তির সবচাইতে কঠিন শাস্তি হবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা আঁকে।” (‘বুখারী শরীফ’)। যারা যালিম কাফিরদের সুরত ধরছে, দাড়ি ডিজাইন করছে, কাফিরদের পোষাক পরছেন। তাদের অনুসরণ করছেন। একবারে মত চিন্তা করুন যারা উক্ত হারাম কাজগুলোকে হালাল করে নিয়েছেন তাদের ব্যাপারে উল্লিখিত হাদিস খানা বিশ্লেষন করলে তাদের ঠিকানা কোথায়। তারা কত নম্বর মুসলমান।
    পোষ্ট মুছে দিয়ে হক্ব গোপন করা যায় না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে হক্ব পৌছে দেয়া। মানা না মানা আপনাদের ব্যাপার।

    1. আমি আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আগেও দিয়েছি। মনে হচ্ছে, আপনি সেগুলো পড়ছেন না, না হলে আপনি কারও কঠিন ব্রেইন ওয়াশের শিকার, যা কারণে আপনি সহজ, সরল, যুক্তিযুক্ত কথা, যেটা আপনাদের cult ছাড়া পৃথিবীর বেশিরভাগ মুসলিম সমর্থন করেছেন, তা উপলব্ধি করতে পারছেন না। আমি দোয়া করি আল্লাহ ﷻ আপনার অন্তরকে উন্মুক্ত করে দিন। আমি শেষ বারের মতো আপনাকে আবারো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো দলিল দিয়ে, যাতে করে আমি আমার দায়িত্ব শেষ করতে পারি।

      যদি তাই মনে করেন তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এই উম্মতের মধ্য থেকে তাদের জন্য একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন। যিনি দ্বীনের মধ্যে প্রবিষ্ট বিদয়াত বেশরা সংস্কার করবেন। তা দূর করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ)। এ হাদিসখানা সহ অন্যান্য যেই হাদিসসমূহ আপনাদের মনপূতঃ না হয়, আপনারা সেগুলোকে জাল, হাসান প্রমাণে উঠে পড়ে লেগে যান।

      এই হাদিসটি আপনাদের গুরু শেখ আলবাণী, যাকে আহলে সুন্নাহ ওয়া আল-জামাহ সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিস বলে মানে, সে কি তাকে সাহিহ হাদিস বলেছেন?

      আর এই একমত হওয়ার ব্যাপারে উক্ত হাসিদ শরীফখানা দলিল।

      মুজাদ্দিদের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যদি সত্যিই থাকত, তাহলে সেটা কু’রআনে থাকত। যেই জিনিস কু’রআনে নেই, সেটা ১০০% নিশ্চিত করে কোনোদিন বলা যাবে না। এটা একটা সহজ যুক্তি। অনুগ্রহ করে একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন।

      আমার পরামর্শ আপনি বিগত সকল হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের জীবনী পাঠ করুন এবং ফিকির করুন। যিনার সকলেই আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরেমুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট মকবুল। উনাদেরকে অনুসরণ করুন। আল্লাহ পাক সুরা ফাতেহা শরীফে উনাদেরকেই অনুসরণ করার কথাই বলেছেন।

      ভাই, সূরা ফাতিহার ব্যাপারে এই ধরনের হাস্যকর কথা বলার আগে একটু চিন্তা করুন। সূরা ফাতিহা যখন নবী (সা) এর উপর নাজিল হয়েছিল, তখন তাকে আল্লাহ কোন মুজাদ্দিদের কথা বলেছেন? সাহাবীদের জন্য মুজাদ্দিদ কে ছিল? তাদের জন্য ‘আন আমতা আলাহিম’ কারা ছিল? সূরা ফাতিহা কি আল্লাহ ﷻ মুজাদ্দিদ আসার পরে নাজিল করেছেন আমাদেরকে মুজাদ্দিদদের কথা বলার জন্য?

      আর আপনি যাদেরকে মকবুল বলছেন, আপনাকে কি আল্লাহ ﷻ কোনো দলিল পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি একটা নামের লিস্ট দিয়ে দিয়েছেন কাদেরকে তিনি মকবুল করে নিয়েছেন? কু’রআনে কোথাও তাদের নামের লিস্ট আছে? সাহিহ হাদিসে আছে? না জেনে, বানিয়ে বানিয়ে আল্লাহর ﷻ নামে কথা বলবেন না। আপনি জানেন না আল্লাহ ﷻ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে।

      নিজেকে কিছু কথা বার বার বলতে থাকলে, একসময় মানুষ মিথ্যাকেও সত্য বলে মনে করা শুরু করে। আমার ধারণা আপনাদের বিশেষ cult টি এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে। দেখবেন, তারা কিছু ভিত্তিহীন, মনগড়া কথা বারবার বলছে। যখনি কোনো সমাবেশ হবে, দেখবেন কিছু কথা বার বার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এটি একটি মানসিক কৌশল। এভাবে মানুষকে মিথ্যাকে একসময় সত্য বলে মানিয়ে দেওয়া যায়। মানুষ মনগড়া কথা যখন বার বার শুনতে থাকে, তখন সেটা তারা সত্য বলে মনে করা শুরু করে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আগেকার আমলের পীর, দরবেশরা অনেক জাল হাদিস প্রচার করে গেছে। আজকাল যুগে এটাকে আরও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন বিকৃত গোত্রের মত প্রচার করার জন্য।

      যাই হোক, এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন দেখছি না। গত তিন সপ্তাহ ধরে আপনি একই জিনিস কপি-পেস্ট করে যাচ্ছেন। আপনার কথা বার্তায় কোনোই পরিবর্তন আসছে না। একদম স্পষ্ট দলিল দেখানো পরেও কোনো লাভ হচ্ছে না। স্পষ্ট দলিল পেয়ে আপনি ঘুরে ফিরে একই কথা অন্যভাবে বলার চেষ্টা করছেন। আপনাকে যারা ব্রেইন ওয়াশ করছে, তারা আপনাকে নিশ্চয়ই একই কথা বার বার বলে যাচ্ছে এবং আপনি তাদের সেই মানসিক কৌশলের শিকার হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার আশেপাশের অবস্থা, মানুষগুলো না পাল্টাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সুতরাং এভাবে তর্ক করার কোনো কারণ নেই। চেষ্টা করুন আপনি সবসময় একই cult এর সাথে সবসময় ঘোরাঘুরি না করে, বিভিন্ন মতালম্বিদের সাথে ঘোরাঘুরি করুন। তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন, চিন্তা করার অনেক নতুন বিষয় পাবেন, আপনার চিন্তার পরিধি অনেক বাড়বে। একটা গর্তের ভিতরে মানুষ যখন সারা জীবন পার করে দেয়, তাদেরকে কোনোদিন বলে বোঝানো যায় না সমুদ্র কী জিনিস।

  18. Vaia , salater moddheto Arabic cara onno vasa use kora jabena but “নামাযের প্রত্যেক সিজদায় এবং শেষ বসায় আল্লাহ্‌র সাথে নিজের ভাষায় কথা বলুন”। apni ai kotha bolcen? tahole beparta kemon na? ans ta aktu dien please>

    1. Careful about when you say something can be done or cannot be done in religion, without showing any reference. What people say or think isn’t religion, religion requires authentic scriptural proof.

      Only Quran recitation in Salah is mandatory to be done in Arabic. Everything else can be in mother tongue. See this:

      Ibn Taymiyyah said, “Supplication is allowed in Arabic or any other language as God knows the intention and meaning of the supplicator. God knows the sounds of his creation crying out regardless of the language.”

      More on this:
      http://www.suhaibwebb.com/personaldvlpt/worship/prayer/does-prayer-have-to-be-in-arabic/

      Another thing is, in the India-Pakistan-Bangladesh region, we follow a version of Islam which can be called “Pakistani Islam”, which is in many cases far away from the real Islam that was introduced in Arabia. We have come to believe many things and do many things assuming they are from Islam, but they aren’t. For ex, people think that in Salah they have to recite certain things and only those things and nothing else. They have made Salah a formal ritual drill, nothing more. Salah is a connection with Allaah. It is your time to meditate and talk to Allaah, share your pain, receive guidance, receive Allaah’s console in your heart and so on.

  19. Assalamualaikum Brother! May Allah (SWT) reward you for your good deeds. We have been told repeatedly not to be judgemental to other people’s works and intentions as Allah (SWT) knows the best and yet I noticed in the reply section how confidently people are blaming one another pointing towards the Muslimness of the other.

    May Allah guide us to the path of righteousness. Alhamdullillah bother you are very patient in answering some of the questions.

  20. অসম্ভব ভালো লাগলো পড়ে। অনেক কিছু শিখতে পারলাম। (y)

  21. Bhai Salam niben,
    Apni je bollen, amra onekta Pakistani islam onusoron korchi , kintu ekta bepar bujte parchina je amader deshe bhalo bhalo educated Khatib, Huzur ebong Islamic research foundation thaka sotteo emonta hocche keno? karon , amra muloto tader kaj thekei prothom islamic sikkha pai. Amader ke jokhon basai othoba Masjide salat adai kora sikahno hoi tokhon etake ekrokom formal kore sikhano hoi. Ami matro bochor du-ek age jenechi je sejda roto obosthaio doa kora jai. Tahole prosno hocche eta sikhano hoina keno? Ar salat adai korar sohi niom kotha theke janbo ? niom bolte ami ekhane formal recitations/rules bujacchina karon oguloi muloto amader sikhano hoi, ami jante chacchi sejdai roto obosthai amra kibhabe doa korbo, matribhasa bebohar kora jabe ar kora gele kibhabe korte hobe , ki nie doa korte hobe, doa ki arbite hote hobe, ebong formal niomer bahire aro kono kisu ache kina ….etcetera etcetera .

    1. আজকাল সঠিক ইসলাম শেখা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আপনি ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে যান। islamiconlineuniversity.com সেখানে আপনি নামাযের ফিকহের উপরে কোর্স পাবেন।

      আর নামাযে বা অন্য যে কোনো সময় দু’আ করার জন্য কোনো গদ বাঁধা নিয়ম নেই। দু’আ নিজের ভাষায় করা সবচেয়ে ভালো। আপনি যদি একটা বিজাতীয় ভাষায় কিছু শব্দ উচ্চারণ করে নিজে নাই বোঝেন: আল্লাহর কাছে আপনি আসলে কী চাচ্ছেন, তাহলে সেটা আর দু’আ হলো না। সিজদায় গিয়ে সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় আল্লাহর সাথে যা বলতে ইচ্ছে করে বলুন। আল্লাহ আপনার ভাষা বোঝেন। তিনি আপনার থেকেও ভালো জানেন আপনি আসলে কী চাচ্ছেন।

  22. মাসাআল্লাহ অসম্ভব চমৎকার একটা আর্টিকেল, আর সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই, আর্টিকেল পড়ে মনটা জুরিয়ে গেল আর এই জানা থেকে নিজেকে পালটাতে সক্ষম হব বলে আল্লাহর কাছে আশাবাদি …আমাদের সবাই কে সঠিক পথেন সন্ধান দিন র হেদায়াত দিন
    … জাযাকাল্লাহু খাইরান

  23. Sura Tawba 125 & Sura Jumar 22 ayat ta pore dekhen to bojhar kisu baki ase kina ? Sotto shondhane koran e jothesto, jadis porjonto jewar proyojon hoy na. PS. Hadis e kudsi te rasul pak s bolechen kolb ek mangsho pindo. Apni onushondhan korun ei kolb kivabe pobitro hoy oo allah er name prokompito hoy. Check sura anfal 2~4.

  24. amar comment delete korlen keno vai?? uttor jana na thakle khuje ber korar chesta korun. Apnar moto attogene gani manusher mongora islam bekkha o prochar e diner jothesto khoti hocche. manusher kache prokashito howar iccha ke domon korun. Ei kaj ta korte pare nai MOUDUDI. Take o tar dol ke onuhsoron kore bipod grosto hoben na, manush keo bipod grosto korben na.

    Bolun to, Shia o Moududi ei dui dol er difference kothay??

    Similarity hocche, dui doler e akida vul & Mon gora bekkha.

    apni je namaj er niyom bollen, ei niyom e apni ki folafol peyechen.?? Shompurno ekagrota ki peyechen?? kono din oo pawar kotha na. Allah koran e bolechen, “la salata bi hujuril kalb.”

    apnar namaj shikkhay ki ei kotha bolechen?? jodi na bole thaken tahole ki apni allah er kalam er bahire manush ke niye jacchen na?? kivabe hujuri kolb pawar shikkha oo direction na diye apni niye jacche namaj er age chup kore dariye thaka , mon shanto hole namaj pora. Nije ja bojhen tai manush ke bojhale hobe kivabe?? apnar dhen dharonay to allah chole na. apnar moto manush er jonnoi islam er aj ei obostha. ja bojhen tai thik.

    eishob vul theke ber hoye ashen. Manush er shamne shonman pawar asha, prokashito howar asha, nije shotovag thik so ja boli shob thik ei vaba, egulo shoytan er kaj.

    manush ke r vibranto korben na. nije kisui janen na dhore niye egiye jan. nahole apnar porinoti oi Moududir motoi ovishopto hobe.

  25. Ei ayaat gulo apnar jonnei Allah koran e likhechen. Govir vabe pore chinta kore dekhun.

    আর তোমরা যা বোঝো না, তা অনুসরণ করবে না। নিশ্চয়ই শ্রবণ, দৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তা – এই সবগুলোর ব্যপারে জবাবদিহি করতে হবে।” [আল-ইসরা ১৭:৩৬]

    আল্লাহ তাদেরকে কলুষিত করে দেন যারা তাদের বিচার-বুদ্ধি ব্যবহার করে না। [১০:১০০]

    তারা কি কু’রআন সম্পর্কে চিন্তা করে না, তাদের অন্তর কি তালাবন্ধ? [৪৭:২৪]

    আর তারা (জাহান্নামিরা) বলবে, আমরা যদি শুনতাম বা বুদ্ধি খাটাতাম তাহলে আজকে আমরা জাহান্নামিদের মধ্যে থাকতাম না। [৬৭:১০]

    1. আপনার সুচিন্তিত মতামতগুলোকে সুন্দর মার্জিতভাবে একজন মু’মিনের ভাষায় প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে অনুরোধ করব অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করে, ঠিক কোন কথাটি কুরআনের কোন আয়াত বা সাহিহ হাদিসের বিপক্ষে গেছে, তার পক্ষে কুরআন এবং সাহিহ হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে মন্তব্য করার। রেফারেন্স ছাড়া অনুগ্রহ করে কোনো মন্তব্য করবেন না, কারণ সেটা আপনার আমার দুজনের জন্যই সময় অপচয় হবে।

      আপনার দলিলগুলোকে আহলে সুন্নাহ ওয়া আল জামআ’হ এর শিক্ষা অনুসারে দেবেন এবং উল্লেখ করবেন সেটা আশারি, আছারি, না মাতুরিদি — কোন মতবাদ থেকে নেওয়া এবং কোন গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত। অনুগ্রহ করে শুধুই সালাফি, বা শুধুই হানাফি, বা শুধুই সূফী ইত্যাদি মাধহাবের শিক্ষা অনুসারে মন্তব্য করবেন না। আমরা চেষ্টা করি কোনো একটি মতবাদের প্রতি সম্পূর্ণ একপেশে না হওয়ার।

  26. If i cant concentrate in salat i do the following:

    1: ‘bismillahir rahmanir rahim’ clearly and as loud as i can.

    2: All surah and others loudly and clearly as much as you can.

    1. Thank you for sharing your tips.
      I have to tell you brother, Allaah has mandated us to read our Salah in moderate tone:

      Say [to them], ‘Call on God, or on the Lord of Mercy- whatever names you call Him, the best names belong to Him.’ [Prophet], do not be too loud in your prayer, or too quiet, but seek a middle way [17:110]

  27. Each time I read your articles, my eyes fills with tears of joy! Alhamdulillah that you are spending your time wisely and perfectly. And giving us such writings which are very much needed in this era of Jaheliyah.. JazakumuAllahuu Khairan, brother!

    1. Thank you for your compliment. It is Allaah who has opened your heart to Him and that’s why you like reading about Islam. I haven’t done anything. There are many who read these article and come up with lots of argument and negative reaction.

      By the way, don’t forget to read my new project: http://quranerkotha.com

  28. ভাই আপনার লেখা পড়ে অনেক ভাল লাগল। একটা ব্যাপারে আপনার হেল্প লাগবে সেটা হচ্ছে আমি চেষ্টা করছি আগে কুরআন ভাল ভাবে বুঝতে তারপর হাদিস।কিন্তু আমি যখন আমার পাশের মানুষ দের কে হাদিসের আগে কুরআন কে priority দিতে বলছি তখন তারা বলছে নামায পড়তে হবে এটা কুরানে আছে কিন্তু কিভাবে পড়তে হবে,নামাযে কি পড়তে হবে এইগুলো তো কুরানে নাই,এইগুলো আমাদের কে হাদিস থেকে জানতে হবে।তারা কুরআন এবং হাদিস কে same priority দিচ্ছে।তাদের কথা শুনে আমি confusion এ পড়ে জাচ্ছি।নামায কিভাবে পড়তে হবে,নামাযে কি পড়তে হবে এইগুলো কি আসলেই কুরানে নাই????

    1. কুরআনকে হাদিসের থেকে বেশি প্রায়োরিটি দিতে হবে এর মানে এই নয় যে, পুরো কুরআন পড়ে বোঝার আগে কোনো হাদিস পড়া যাবে না। একইসাকে হাদিসকে কুরআনের আগে প্রায়োরিটি দিতে হবে মানে এই নয় যে, হাদিস গ্রন্থগুলো সব না পড়ে কুরআন পড়া যাবে না। যদি এই হয় প্রায়োরিটি দেওয়ার ডেফিনেশান, তাহলে হয় কোনোদিন হাদিস পড়া হবে না, নাহয় কোনোদিন কুরআন পড়া হবে না। দুটোই চরমপন্থা।

      আমাদের মধ্যম পন্থা বোঝায় রাখতে হবে। হাদিস থেকে দৈনন্দিন যে ব্যাপারগুলো জানা দরকার, সেগুলো শিখে নিয়ে জলদি কুরআন পড়া শুরু করতে হবে। যদি আমরা মারা যাই কুরআন একবারও না পড়ে, তাহলে মুসলিম হিসেবে এর চেয়ে বড় লজ্জার কিছু হতে পারে না। আল্লাহর ﷻ একমাত্র বইটা আমরা জীবনে পড়লাম না, অথচ স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটি পার করতে গিয়ে ২০০টারও বেশি বই পড়ে ফেললাম, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

      তাই আসুন আমরা ব্যালেন্স বজায় রাখি। ফরজ কাজগুলো, যেমন নামাজ, রোজা, যাকাত সম্পর্কে হাদিসগুলো পড়ে, ফরজ কাজগুলো ঠিক করে নিয়ে জলদি কুরআন পড়তে বসে যাই। কুরআন বুঝে পড়া শেষ করার পর আরও বিস্তারিত জানার জন্য অন্যান্য তাফসীর, হাদিসের বই পড়তে পারি। প্রতিদিন দুয়া করি, আল্লাহ ﷻ যেন আমাদেরকে কুরআন পড়া শেষ হওয়ার আগে নিয়ে না যান। আল্লাহ ﷻ যেন আমাদেরকে এই চরম অপমান থেকে রক্ষা করেন।

      একটি ব্যাপার মনে রাখবেন: রাসুল ﷺ মারা যাওয়ার পর প্রায় ৩০০ বছর পরে সাহিহ বুখারি লেখা হয়েছে। সেটা মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়েছে আরও শত বছর পরে। সেই প্রজন্মগুলোর কাছে সাহিহ বুখারি, সাহিহ মুসলিম ইত্যাদি ছিল না। তারা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে নামাজ, রোজা, যাকাত ইত্যাদি শিখেছে। তাদের কাছে বই আকারে শুধুমাত্র কুরআন ছিল, এবং ছিল শত শত হাফিজ, যারা তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাত। কয়েক প্রজন্ম ধরে নামাজ চলে এসেছে শত শত মানুষের স্বীকারোক্তি থেকে। তখন কোনো হাদিস গ্রন্থ দরকার হয়নি। প্রতিদিন শত শত মানুষ দিনে পাঁচ ওয়াক্ত যেই কাজ করেছে, তা ভুল হতে পারে না। তারা নিশ্চিত করেছে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন নামাজের সঠিক পদ্ধতি ধরে রাখে।

      আপনি নিজেও নামাজ পড়া শিখেছেন বাবা-মার কাছথেকে, মসজিদে গিয়ে শত শত মানুষকে নামাজ পড়া দেখে। আপনার হাদিস পড়ার দরকার হয়নি। এভাবে আমরা হাজার বছর ধরে নামাজের পদ্ধতি, সময়, রাকআতগুলো বংশপরম্পরায় বয়ে এনেছি। সামান্য কিছু এদিক ওদিক হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কোনো নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো বড় ব্যাপার নয়। আল্লাহ ﷻ গাফুরুর রাহিম।

  29. assalamoalaikum…. Allah apnk uthom jajah dik…amr ques chilo amra sb namajey ki sijday nijer vasay doa krte parbo.?? onk a blen froz namaje sudhu hadise rasul sw j doa gulo krte seguloy krte

  30. Sottikarer namaz porar niom asole konti? Jmn keu pore Al-hadis ar niome keu sunni. Jai hok Al-hadis ba sunni bolte ki setao ami janina. Ami namazer dhoron bojhanor jonno bollam. Akhn dhora jak Al-hadis r sunni boktr kichu ache. R 2 joner namazer dhorone besh kichu parthokko o ache. Jmn ami namaz porchi sunni dhorone. Ami dekhechi Al-hadis jara tara namaz jokhon pore ruku theke uthe abar nioter moto kore thn hat badhe amn koyekbar e kore ja amra korina. Abar tara katare daray pa onk faka kore amra olpo. Ora hat badhe buker upore amra navir niche. Akhn onk post a porechi sothik niom ba Nobiji jevabe namaz porten. Akhn jodi nobiji oi vabei namaz porten tahole baki namazer dhoron gula kivabe aslo. R sunni jara aikhaneo o to boro boro alem ba olamar ovab nai. Jodi sunnir namaz sohi na e hoye thake tahole kn unara tader namaz correction kore nichhena? Ajke ami kar kach theka sohi ans pabo? Apni jodi Alhadis hoyw thaken tahole apni bolben j alhadis e sohi karon apni jodi janten e sunni sohi tahole apni obossoi alhadis ar moto portenna thik temni j sunni se oitar kothai bolbe. Dhora jak apni ssc pas, rekjon o same ssc pass. Akjon math onk valo pare o bolbei math sohoj rekjon math parena English valo pare o english takei sohoj bolbe. Ajke ami jodi apnake ask kori apni bolben math sohoj thik temni rekjonle ask korle uni bolbe math onk voyabaho. Akhn ami kar kotha believe korbo 2 jon e to ssc pass. 2 jomer e to mullo same. Thik alhadis niome namaz pore amn olamar kache gele uni alhadis niomei namaz porte bolbe r bolbe j sunnir niom sohina onk hadis o dekhaya dibe thik temni sunni niome j namaz pore omn olamar kache gele uni bolbe alhadis vul unio kochu hadis dekhaya dibe. Akhn ami to sadharon akjon manus ami to jantei jabo. Unara alem olama onk boro to sobar e man ak rokom e but 2 joner 2 rokom ans pai tahole ami kivane janbo j k sotto? Kar niomtai sothik? Ajke jodi apnio amare bujhan apnartai kivabe believe korbo?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.