প্রথম পর্বে আমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিঃ
“আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা?“
“আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে?”
“আল্লাহ আমাকে মেয়ে বানালো কেন, আমিতো মেয়ে হতে চাইনি? আল্লাহ আমাকে কালো কিন্তু অন্যদেরকে ফর্সা বানাল কেন, এটা তো ঠিক হল না? আমি খাট কেন, লম্বা না কেন? আমার কপালে এরকম শয়তান স্বামী পড়ল কেন? আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি, রোযা রাখি, কোনদিন ঘুষ খাইনি, কিন্তু তারপরেও আমার ক্যান্সার হল কেন?”
আপনি যদি প্রথম পর্বটি পড়ে না থাকেন তবে অনুরোধ করবো সেটা আগে পড়ার, কারণ এই পর্বটি ধরে নেয় আপনি প্রথম পর্বের উত্তরগুলো বুঝেছেন এবং প্রভু-দাস ব্যপারটি ঠিকভাবে উপলব্ধি করেছেন।
আমি এবার ‘দার্শনিক ক্যাটাগরির’ জটিল প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করি।
“সত্যিই যদি আল্লাহ থাকে তাহলে পৃথিবীতে এতো দুঃখ, কষ্ট কেন?”
আপনার যদি এই ধারণা থাকে যে – সত্যিই যদি কোন ‘পরম করুণাময়’ সৃষ্টিকর্তা থাকতো, তাহলে পৃথিবীতে এত দুঃখ, কষ্ট, যুদ্ধ, অভাব, অসুখ থাকতো না – তার মানে এই না যে কোন পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা নেই। এর মানে এটাই যে আল্লাহ কি উদ্দেশে পৃথিবী তৈরি করেছেন, তা আপনি বুঝতে পারেন নি। পৃথিবীতে কোন সমস্যা থাকার মানে এই না যে কোন পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা নেই বরং এটাই প্রমাণ হয় যে আপনি সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞা সম্পর্কে নিজে নিজেই কিছু একটা ধারণা করে নিয়েছেন, যা সঠিক না। একটা পিঁপড়া যদি মানুষকে চ্যালেঞ্জ করে – “তোমাদের না এত বুদ্ধি? তাহলে তোমরা মাটির উপরে বাড়ি বানাও কেন? আমাদের মত মাটির নিচে থাকলেই তো পারো?” এখানে পিঁপড়া ধরে নিচ্ছে বুদ্ধিমান হলেই মাটির নিচে থাকতে হবে, যা হাস্যকর। ঠিক একই ভাবে এটা হাস্যকর যে মানুষ সৃষ্টিকর্তার এক সংজ্ঞা নিজে নিজে বানিয়ে, সেই সংজ্ঞা ব্যবহার করে নিজেরাই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে।
দ্বিতীয়ত, আপনাকে কে শেখাল করুণা কি? পৃথিবীতে যদি কোন সমস্যা না থাকতো, কোন অন্যায় না হত, কোন খারাপ কিছু না থাকতো, তাহলে আপনি বুঝতেন কি করে ‘খারাপ’ কি এবং তখন ‘ভালো’ বলতেই বা কি বোঝাতো? করুণা করার প্রশ্ন তখনই আসে যখন কোন মন্দ ঘটনা ঘটে। কোন মন্দ না থাকলে তো করুণার অস্তিত্ব থাকতো না। বরং আপনার মনে করুণার ধারনাটি যে আছে সেটাই তো প্রমাণ করে যে কেউ একজন আছে যে আপনাকে করুণার ধারনাটি দিয়েছে! না হলে এই ধারণাটি আপনার মনে আসলো কিভাবে? এটা তো ক্ষুধার মত কোন শারীরবৃত্তীয় ধারণা না যে আপনি বিবর্তনের মাধ্যমে বানর থেকে মানুষ হবার সময় এই ধারণাটি পেয়েছেন!
তৃতীয়ত, আল্লাহ পরম করুণাময় হলেই যে তিনি কাউকে কোন অন্যায় করতে দিবেন না, তা আপনাকে কে বলেছে? বাবা-মা তাদের বাচ্চাদেরকে অত্যন্ত ভালবাসে, কিন্তু তাই বলে তারা নিশ্চয়ই তাদের বাচ্চাদের চিন্তার স্বাধীনতা কেড়ে নেয় না এবং প্রত্যেকটা কাজে বাধা দেয় না। বাচ্চারা অন্যায় করে, তারপর তার জন্য শাস্তি পায়। বাবা-মা সবসময় চেষ্টা করে বাচ্চাদেরকে যতটুকু সম্ভব ভুল না করতে দেওয়ার, অন্যায় থেকে দূরে থাকার জন্য উপদেশ দেবার। আল্লাহও সেটাই করেন আমাদের সাথে।
চতুর্থত, আপনি ধরে নিচ্ছেন, পৃথিবীতে যাবতীয় দুঃখ কষ্টের জন্য শুধু আল্লাহ দায়ী। এখানে মানুষের কোন হাত নেই। মানুষের হাত থাকলেও কেন আল্লাহ এমন ব্যবস্থা করলো না যার জন্য মানুষ যেন কখনও অন্য মানুষকে কষ্ট দিতে না পারে। আমরা অনেক সময় ঠিকভাবে সময় নিয়ে চিন্তা করে দেখিনা আমরা আল্লাহকে কি নিয়ে দোষ দেই। যেমন আপনি হয়তো আফ্রিকার গরিব মানুষদের কষ্ট দেখে ভাবছেন কেন আল্লাহ তাদেরকে এত কষ্ট দেয়? আল্লাহ আফ্রিকার দেশগুলোকে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। তাদের তেল ছিল, হীরা ছিল, সোনা ছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাদের ব্যবসায়ী সরকার নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাবার জন্য পশ্চিমা দেশের কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করে সব তেল, গ্যাস, হীরা, সোনা পশ্চিমা দেশে পাচার করে দিয়েছে। যার ফলে নিজের দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে দেশের মানুষগুলো চরম গরিব হয়ে না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আফ্রিকার গরিব দেশগুলোর সরকারগুলো যদি পররাষ্ট্র নীতিতে স্বচ্ছ এবং দক্ষ হত, তারা নিজেদের কমিশনের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষের জন্য ভাবতো, প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে গোপন রাখত, যতক্ষণ না তারা নিজেদের দেশে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে সেই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো নিজেরাই ভোগ করতে না পারছে, তাহলে আজকে তাদের এই অবস্থা হত না। আল্লাহ সেই দেশগুলোকে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়েছিলেন, যেরকম কিনা তিনি মালয়েশিয়াকে দিয়েছেন। কিন্তু মালয়েশিয়া তাদের সম্পদকে নিজের দেশে রেখে নিজেরাই ভোগ করে বিরাট বড় লোক হয়ে গেছে। অন্যদিকে আফ্রিকার দেশগুলো অল্প কমিশনের বিনিময়ে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সেই প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে যাবার সুযোগ করে দিয়ে ফকির হয়ে গেছে।
আল্লাহ কখনও কোন জাতির উপরে দেয়া তাঁর অনুগ্রহকে বদলান না, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেদেরকে বদলিয়ে না ফেলে। (৮:৫৩)
এখন আপনি দাবি করবেন, “আল্লাহ তাহলে তাদেরকে এমন সরকার হতে দিল কেন? কেন সেই সরকারের সদস্যগুলোর মাথায় বাজ পড়লো না, যখন তারা বিদেশি কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করে নিজের দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছিল? কেন বিদেশি দেশগুলোকে আল্লাহ টর্নেডো, ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত দিয়ে আটকিয়ে রাখল না, যাতে করে তারা আফ্রিকাতে গিয়ে সম্পদগুলো চুরি করতে না পারে?” সমস্যা হচ্ছে আপনি চাচ্ছেন পৃথিবীর মানুষ প্রতিনিয়ত অন্যায় করে যাবে, আর আল্লাহ অলৌকিক ভাবে প্রতিনিয়ত মানুষকে অন্যায় করা থেকে আটকিয়ে রাখবেন। যদি আল্লাহ তাই করতেন তাহলে এই পৃথিবী তৈরি করে মানুষকে পাঠিয়ে পরীক্ষা নেবার কোন দরকার ছিল না, যদি তাঁর উদ্দেশই থাকতো মানুষকে যেভাবেই হোক অন্যায় করা থেকে আটকিয়ে রাখার। মানুষ অন্যায় করবে, তার জন্য শাস্তি পাবে। মানুষের অন্যায়ের কারণে যারা ভুক্তভুগি, তাদের সাথে আল্লাহ যথার্থ ন্যায় বিচার করবেন এবং তাদের কষ্টের জন্য যথাযথ প্রতিদান দিবেন। মনে রাখবেন, আল্লাহ হচ্ছেন ‘পরম ন্যায় বিচারক’ – তিনি সামান্যও অন্যায় করেন না। সুতরাং মানুষের কষ্ট দেখে আল্লাহর উপর ভরসা হারিয়ে না ফেলে আল্লাহর গুণ গুলো নিয়ে ভালভাবে চিন্তা করুন। আপনার মনে আল্লাহর সম্পর্কে যত ধরণের সংশয়, দ্বিধা, সন্দেহ আছে, তা চলে যাবে। কু’রআন নিজে মনোযোগ দিয়ে বুঝে পড়লেই এধরনের সংশয়ের সমাধান পেয়ে যাবেন। যখনি মনে কোন সন্দেহ জাগবে, সেই সন্দেহের উত্তর খোঁজার জন্য কু’রআন পড়া শুরু করবেন। দেখবেন আল্লাহ আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রেখেছেন। সবসময় মনে রাখবেনঃ
আল্লাহ কখনই মানব জাতির কোন ক্ষতি করেন না, বরং মানুষরাই মানুষের ক্ষতি করে। (১০:৪৪)
কিছুদিন আগে আমাকে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আল্লাহ কেন গরিব মানুষগুলোকে মান্না এবং সালওয়া পাঠায় না, যে রকম কিনা ওই বদ ইহুদিগুলোকে দিয়েছিল।” এ ধরণের অলৌকিক ঘটনা ঘটলে তার ফলাফল কি ভয়াবহ হবে চিন্তা করে দেখুন। ধরুন বসনিয়াতে নির্যাতিত মুসলিমদের উপর একদিন হঠাৎ করে আকাশ থেকে মান্না এবং সালওয়া আসা শুরু হল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই খবর ইন্টারনেটএ ছড়িয়ে যাবে এবং বিবিসি, সিএনএন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, ডিসকভারি চ্যানেল থেকে শত শত হেলিকপ্টারে করে হাজার হাজার সাংবাদিক গিয়ে সেখানে হাজির হবে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ সারাদিন বসে টিভিতে দেখতে থাকবে এই অসম্ভব ঘটনা। সাড়া পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অলৌকিক ঘটনা নিজের চোখে দেখার জন্য প্লেনে করে বসনিয়াতে যাবার জন্য বিরাট লাইন দিয়ে দিবে। বসনিয়ার আসে পাশের দেশগুলো থেকে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ গরু, ঘোড়া, গাধায় করে রওনা দিবে বসনিয়ার উদ্দেশে এই বিনামুল্যে পাওয়া খাবারে ভাগ দেবার জন্য। কয়েক দিনের মধ্যে পৃথিবীর একটা বড় জনগোষ্ঠী বসনিয়াতে গিজ গিজ করতে থাকবে। বসনিয়ার বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে কোন জায়গা পাওয়া যাবে না। শহরের পানি, খাদ্য, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। খ্রিস্টান, মুসলিম, ইহুদি আলেমদের মধ্যে বিরাট ঝগড়া লেগে যাবে যে এই অলৌকিক ঘটনার জন্য কে দায়ী – আল্লাহ, নাকি যীশু, নাকি ইহুদিদের খোদা এল্লাহি। কয়েকদিনের মধ্যে পশ্চিমা দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের আর্মিকে হাতিয়ে, বসনিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে কাটা তারের বেড়া দিয়ে সবাইকে বের করে দিবে, মান্না এবং সালওয়া নিয়ে গবেষণা এবং ব্যবসা করার জন্য।
আল্লাহ জানেন এ ধরণের কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটালে মানব জাতির লাভের থেকে ক্ষতি হবে। একারণেই তিনি তা করেন নাঃ
অলৌকিক নিদর্শন পাঠাতে আমার কোন বাঁধা নেই, কিন্তু আগের প্রজন্মগুলো সেগুলো অমান্য/অস্বীকার করেছে। আমি থামুদের লোকদেরকে পরিস্কার নিদর্শন হিসেবে এক উট দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও তারা সেটার সাথে অন্যায় করেছিল। আমি অলৌকিক নিদর্শন পাঠাই মানুষকে শুধুমাত্র সাবধান করতে। (১৭:৫৯)
“আল্লাহ কেন শয়তানকে বানালো? শয়তান না থাকলে তো আমরা সবাই বেহেস্তে যেতে পারতাম”
আসলে প্রশ্নটা হচ্ছে, আল্লাহ কেন “মন্দ” সৃষ্টি করলো? কেন শুধুই ‘ভালো’ থাকলো না?
প্রশ্ন হচ্ছে যদি মন্দ না থাকে, তাহলে আপনি বুঝবেন কি করে ভালো কি? যদি অসুন্দর না দেখে থাকেন, তাহলে সুন্দর দেখলে তা বুঝবেন কি করে যে সেটা সুন্দর? যদি কখনও কষ্ট পেয়ে না থাকেন, তাহলে আরাম কি সেটা বুঝবেন কি করে? যদি অসুস্থতা না থাকে, সুস্থতা অনুভব করবেন কিভাবে?
সুখ হচ্ছে দুঃখের অভাব। যখন আমরা কম দুঃখে থাকি, তখনি আমরা সুখ অনুভব করি। আমাদের দুঃখ কখনও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় না।
একবার রোবট বানানোর সময় বিজ্ঞানীরা চিন্তা করছিলেন, কিভাবে রোবটকে সুখের অনুভুতি দেওয়া যায়? তারা চিন্তা করে দেখলেন, রোবটকে সবসময় কোন একটা কষ্ট দিতে হবে, যাতে করে রোবট চেষ্টা করবে সেই কষ্টটা কমানোর, কারণ কষ্ট কম মানেই ‘সুখ’। যখনি রোবট বুঝবে এই কাজটা করলে তার কষ্ট কমে যায়, তখনি সে ‘সুখ’ পাবার জন্য সেই কাজটা বেশি করে করবে। এজন্য বিজ্ঞানীরা রোবটের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ‘কষ্ট’ তৈরি করে তাকে ‘দুঃখে’ রাখলেন এবং তার মধ্যে সেই দুঃখ কমানোর উপায় প্রোগ্রাম করে দিলেন। রোবট তারপর সবসময় চেষ্টা করে ‘দুঃখ’ কমাবার এবং যখনি তার ‘দুঃখ’ কমে যায়, সে ‘সুখি’ অনুভব করে।
আমরা জানি সুখ হচ্ছে দুঃখের বিপরীত অনুভুতি। ধরুন আপনাকে আমি যদি বলি আমি এখন ‘কস্টানন্দে’ আছি, আপনি কি বুঝবেন ‘কস্টানন্দ’ অনুভূতিটা কি? যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি কস্টানন্দ অনুভব না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কি করে তার বিপরীত অনুভুতি ‘আনন্দুঃখ’ অনুভব করবেন? আল্লাহ যদি মানুষকে আনন্দুঃখ দিতে চান, তাহলে কি তিনি মানুষকে প্রথমে কস্টানন্দ অনুভব করাবেন না?
আল্লাহ আমাদের উপরে একটা বিরাট অনুগ্রহ করেছেন যে আমাদেরকে দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, অশান্তি খুব বেশি হলে ১২০ বছর সহ্য করতে হবে এবং তারপর আমরা হাজার বছর, লক্ষ বছর, কোটি কোটি বছর আনন্দ, সুখ, শান্তি অনুভব করবো। চলুন আমরা সেটা অর্জন করার জন্য সব রকম চেষ্টা করি। আপনাকে যদি কেউ বলে আপনাকে আজকে সারাদিন রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এবং তার বিনিময়ে আপনাকে বাড়ি, গাড়ি, জমি, টাকা সব দেওয়া হবে – আপনি কি চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে যাবেন না?
দ্বিতীয়ত, আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে যে, যা কিছুই ভালো তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যা কিছুই খারাপ তা হয় শয়তানের কারণে, এতে আমাদের কোন হাত নেই। ভুল ধারণা। ভালো মন্দ সবকিছুই আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের জীবনে ভালো যা কিছু হয়, তা আল্লাহ্র অনুগ্রহে এবং যা কিছু খারাপ হয়, তা আমাদেরই দোষে, আল্লাহ্র অনুমতিতেঃ
… যখন ভালো কিছু হয়, তারা বলে, “এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে”, আর যখন খারাপ কিছু হয়, তারা বলে, “এটা তোমার (মুহম্মদ) কারণে হয়েছে।” তাদেরকে বলো, “দুটোই আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে।” এই মানুষগুলোর সমস্যা কি যে তারা কিছুতেই বোঝে না তাদেরকে কি বলা হচ্ছে? তোমার উপরে ভালো যা কিছু হয়, তা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে, আর যা কিছু খারাপ হয়, তা তোমার কারণে। …(৪:৭৮-৭৯)
আমার অনুসারীদের উপরে তোমার (শয়তান) কোন ক্ষমতা থাকবে না , কিন্তু ওই সব পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করে। (১৫:৪২)
যখন সব ফয়সালা হয়ে যাবে (কিয়ামতের দিন), তখন শয়তান বলবে, “আল্লাহ তোমাদেরকে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলো ছিল সব মিথ্যা। তোমাদেরকে শুধু ডাকা ছাড়া আমার আর কোন ক্ষমতা ছিল না তোমাদের উপরে। তোমরাই আমার ডাকে সাড়া দিয়েছিলে। তাই আমাকে কোনো দোষ দিয়ো না বরং নিজেদেরকে দোষ দাও।”… (১৪:২২)
সুতরাং অন্যায় করে বলেন না যে সব শয়তানের দোষ, শয়তান না থাকলে আপনি সেই অন্যায়গুলো করতেন না। শয়তান শুধুই আপনাকে আইডিয়া দেয়, আপনি নিজে জেনে শুনে অন্যায়গুলো করেন। আপনার সিদ্ধান্তের স্বাধীনতার অপব্যবহারের জন্য আপনি দায়ী, শয়তান নয়। আপনার টেবিলে একটা কম্পিউটারের ম্যাগাজিন পড়ে আছে, আর সামনে টিভিতে এমটিভি চ্যানেলে একজন শিক্ষিত, বয়স্ক, দুই সন্তানের মা, নামমাত্র কাপড় পড়ে লাফালাফি করছে। আপনি টিভি বন্ধ করে ম্যাগাজিনটা না পড়ে যদি হা করে তাকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটাতে শয়তানের দোষ নেই, পুরোটাই আপনার দোষ।
“আল্লাহ কি জানে না কে বেহেস্তে যাবে, কে দোযখে যাবে? তাহলে মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করার দরকার কি? আল্লাহ যদি জানেই আমি দোযখে যাবো তাহলে আমার আর ভালো কাজ করে লাভ কি?”
প্রথমত, আপনি যদি এই ধরণের প্রশ্ন করেন তাহলে আপনার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে – আপনি দোযখে যাবার জন্য সব দোষ আল্লাহকে দিতে চান। আপনি আপনার দোষের জন্য নিজে কোন দায়িত্ব নিবেন না, পুরোটাই আল্লাহর দোষ। আপনার আসল সমস্যা হচ্ছে আপনি প্রভু-দাস এই ব্যপারটি ঠিকমত বোঝেনি। একারণে আপনাকে অনুরোধ করবো প্রথম পর্বটি বার বার পড়ার।
দ্বিতীয়ত, আপনি ধরে নিচ্ছেন আপনি জাহান্নামে যাবেনই। কে বলেছে আপনাকে যে আপনি জাহান্নামে যাবেন এবং আপনার আর ভালো কাজ করে লাভ নেই? বরং আল্লাহ বলেছেনঃ
… ও আমার বান্দারা, তোমরা যারা নিজেদের উপরে চরম অন্যায় করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহের উপর কখনও আশা হারিয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করেন। কোন সন্দেহ নেই, তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, নিরন্তর করুণাময়। (৩৯ঃ৫৩)
তখন আপনি প্রশ্ন করবেন, “আমার কি পরিণতি হবে সেটা তো আল্লাহ জানেই? যদি আল্লাহ জানেই আমি দোযখে যাচ্ছি, তাহলে আর ভালো কাজ করে লাভ কি?”
এটা একটা জটিল প্রশ্ন কারণ এর সাথে ‘কদর’ বা ‘পূর্ব নির্ধারিত ভাগ্যের’ ধারণা জড়িত। এটি একটি ব্যাপক ব্যপার যার জন্য বেশ কয়েকটি বই পড়া প্রয়োজন। আমি যদি একটা ছোট সারাংশ দেই তাহলে দাঁড়ায়ঃ
আল্লাহর কোন কিছু জানার অর্থ এই না যে আপনার কোন স্বাধীনতা নেই। আল্লাহ মানুষকে ‘সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা’ দিয়ে পাঠিয়েছেন। প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ কিছু ব্যপার পূর্ব নির্ধারিত করে দিয়েছেন, কিন্তু বাকি অনেক কিছু মানুষের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। মানুষ কোন পরিস্থিতে পড়ে যদি ভালো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সে তার জন্য পুরস্কার পাবে, যদি খারাপ সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তার জন্য শাস্তি পাবে। পরিস্থিতিগুলো আল্লাহ তৈরি করেন। প্রতিটি পরিস্থিতে মানুষ কতগুলো সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে পারবে সেটাও আল্লাহ নির্ধারণ করে দেন। মানুষের কাজ হচ্ছে ভাল সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া এবং নিজের রাগ, লোভ, কামনা, বাসনা, ইগো ইতাদির বশবর্তী হয়ে অন্যায় সিদ্ধান্ত গুলো না নেওয়া।
যেই কিনা সৎ কাজ করবে, সে তা নিজের উপকারেই করবে; আর যেই কিনা অসৎ কাজ করবে, তা সে নিজের বিরুদ্ধেই করবে। তোমার প্রভু তার বান্দাদের উপরে কখনই অবিচার করেন না। (৪১:৪৬)
কিন্তু এর মানে এই না যে আল্লাহ জানেন না আমরা কি সিদ্ধান্ত নিব, বা আল্লাহ যদি জানেনই আমরা কি সিদ্ধান্ত নিব, তার মানে এই না যে আমাদের সমস্ত সিদ্ধান্ত পূর্ব নির্ধারিত। আমরা যখনি বলি – “আল্লাহ তো সব জানেন” – আমরা ধারণা করে নেই যে আল্লাহর জানাটা হচ্ছে অতীত কালের ঘটনা এবং যেহেতু আল্লাহ ‘অতীত কালে’ জেনে গেছেন, তার মানে বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই পূর্ব নির্ধারিত। এটা ভুল ধারণা। আল্লাহ সময়ের উর্ধে। তাঁর জন্য কোন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নেই। কোন সত্তা যখন সময়ের বাইরে চলে যায়, তখন সে একই সাথে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবকিছুই একই সময়ে, একই মুহূর্তে জানতে পারে। সুতরাং, আমি জাহান্নামে যাবো এটা যদি আল্লাহ জানেন, তার মানে এই না যে আল্লাহর জানাটা অতীত কালে ঘটে গেছে এবং আমার আর ভালো কাজ করে কোন লাভ নেই, আমার ভবিষ্যৎ পূর্বনির্ধারিত। আল্লাহ এই মুহূর্তে আমি কি করেছি, কি করবো এবং তার ফলে আমার পরিণতি কি হবে তা সব দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু তার মানে এই না যে আমি কি করবো, কি করবোনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা আল্লাহ আমাকে দেন নি।
কিভাবে একই সাথে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ দেখা যায় তার একটা উপমা দেই। ধরুন আপনি সিনেমা হলে গিয়ে একটি চলচ্চিত্র দেখছেন। যেহেতু আপনি একটা একটা করে দৃশ্য দেখছেন, আপনি জানেন না সামনে কি হতে যাচ্ছে। আপনি শুধুই অতীতে কি হয়েছে জানেন এবং বর্তমানে কি দৃশ্য হচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ধরুন চলচ্চিত্রটির পুরো ফিল্মের রোলটাকে যদি মাটিতে সমান করে বিছিয়ে রাখা হত এবং আপনি দশ তলা বাড়ির ছাদ থেকে পুরো ফিল্মটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারে, এক পলকে দেখতে পেতেন, তাহলে আপনি একই সাথে, একই মুহূর্তে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবকিছুই দেখতে পেতেন। আপনার কাছে তখন আর চলচ্চিত্রটি একটা একটা দৃশ্য করে আগাতো না বরং পুরো চলচ্চিত্রটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক মুহূর্তে আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠত। এটা শুধুই একটা উপমা, আল্লাহ্ই জানেন সময় তাঁর কাছে কিভাবে কাজ করে।
এবার পূর্ব নির্ধারিত ভাগ্যের একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গাড়িতে করে যাচ্ছেন। আপনি একটা রাস্তার মোড়ে এসে দেখলেন একটা রাস্তা বায়ে গেছে, আরেকটা ডানে গেছে। আপনি বায়ের রাস্তা নিলেন এবং চট্টগ্রামের বদলে সিলেটে গিয়ে পৌঁছালেন। এখন যারা রাস্তা বানিয়েছে – বিআরটিএ, তারা ভালো করেই জানে কোন রাস্তায় গেলে মানুষ কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়ে গিয়ে কোন দিকে ঘুরলে মানুষ কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাবে তারা তা সবই জানে। তার মানে এই না যে আপনি সিলেটে গিয়ে পৌঁছাবেন তা পূর্ব নির্ধারিত, কারণ বিআরটিএ ইতিমধ্যেই জানে রাস্তাগুলো সিলেটে গেছে। আপনি আপনার জীবনে যত মোড় নিবেন, তার প্রত্যেকটির পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ জানেন কারণ জীবনের রাস্তার প্রতিটা মোড় তাঁরই বানানো।
যেমন ধরুন আপনার যখন দশ বছর বয়স ছিল, আপনার স্কুলে দুজন বন্ধু ছিল। রহিম – যে একজন ভালো ছাত্র, সারাদিন পড়াশুনা করে, ভালো ঘরের ছেলে; আর রকি – যে বিরাট বড় লোকের ছেলে, যার ভিডিও গেমের অভাব নেই, সারারাত মুভি দেখে, বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দিয়ে বেড়ায়। আল্লাহ আপনাকে দুটো সুযোগ দিয়েছিলেন – রহিম এবং রকি। আপনি রকির ভিডিও গেমের লোভকে সামলাতে না পেরে রকির পিছনে লেগে গেলেন। পড়ালেখা বাদ দিয়ে সারাদিন সময় নষ্ট করে বেড়ালেন। স্কুল শেষ করলেন একটা বাজে রেজাল্ট নিয়ে। জীবনটা দুর্বিষহ করে ফেললেন। সারাজীবন আল্লাহকে দোষ দিলেন আপনার দুরাবস্থার জন্য। বাকি জীবনটা আল্লাহর কোন নির্দেশ না মেনে, তার সাথে যুদ্ধ করে, তার নির্দেশগুলো অমান্য করে দোযখে চলে গেলেন।
আপনি যদি রকির পেছনে না ঘুরে রহিমের সাথে থাকতেন, আপনার একটা সুন্দর চরিত্র তৈরি হত, আপনি সুন্দর চিন্তা করতে শিখতেন, ঠিকমত পড়ালেখা করতেন, ভাল রেজাল্ট করে ভালো কলেজে পড়তে পারতেন। আপনার জীবনটা সফল হতো। তখন আপনি সারাজীবন আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়ে, তাঁর আদেশ মেনে জীবন পার করে বেহেশতে চলে যেতেন।
আল্লাহ আপনাকে দুটো সুযোগ দিয়েছিলেন। আপনার সিদ্ধান্তের জন্য আপনি দায়ী।
আবার ধরুন আপনি রকির পেছনে লেগে ছিলেন এবং কোন মতে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পেরেছেন আপনার বাবা-মার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত চেষ্টা করার পর। তারপর একদিন আপনার বন্ধু করিম আপনাকে এসে বলল, “দোস্ত, আমার এক বন্ধুর কাছে খবর পেলাম। ওদের এক দল আছে যারা সন্ধার পর ‘ইয়ে’ করতে যায়। সাংঘাতিক মজার ব্যপার নাকি। চল, আমরাও আজকে একবার ‘ইয়ে’ করে দেখি।” এখন এতদিনে আপনার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে আজে বাজে বন্ধুর সাথে মিশলে জীবনে কত পস্তাতে হয়। কিন্তু তারপরেও আপনি লোভ সামলাতে পারলেন না, বন্ধুর সাথে চলে গেলেন। এর জন্য যদি আল্লাহ আপনাকে ধরে সোজা জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন, আপনি কি আল্লাহকে দোষ দিবেন?
কিন্তু ধরুন আপনি নিজে তো গেলেনই না, বরং আপনার বন্ধু করিমকেও আটকে রাখলেন। তাকে আপনার নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ভালো করে বোঝালেন। যার ফলে সে জীবনে একটা বড় ভুল করা থেকে বেঁচে গেল। নিজেকে সংশোধন করার জন্য এবং অন্য একজন মানুষের জীবনকে বাঁচানোর জন্য আল্লাহ খুশি হয়ে আপনাকে বেহেশত দিয়ে দিলেন।
এভাবে আল্লাহ আমাদেরকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রাস্তার ব্যবস্থা করে দেন। আমাদেরকে সংশোধনের সুযোগ করে দেন। কিছু রাস্তা আপনাকে আরও খারাপ করে দিবে, আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের জীবনে আরও কষ্ট এনে দিবে। কিছু রাস্তা আপনাকে আপনার দুরবস্থা থেকে বের করে এনে জীবনটা সহজ করে দিবে। আপনি যদি আপনার গত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না পেয়ে, নিজের লোভ, ইগো, সন্মান, রাগ, অহংকারকে সংযত না করে আবারো ভুল রাস্তায় চলে যান, তাহলে এর জন্য আপনি দায়ী, আল্লাহ নয়।
আমি নিশ্চিত ভাবে মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছি, সে কৃতজ্ঞ হোক আর অকৃতজ্ঞ হোক। (৭৬:৩)
এ পর্যন্ত যা বললাম তা হল মানুষের মস্তিস্ক বর্তমানে যে পর্যায়ে আছে তার পক্ষে ধারণা করা সম্ভব এমন কিছু উপলব্ধি। যেহেতু ‘কদর’ ব্যপারটিই মানুষের কল্পনাতীত একটি ব্যপার, তাই মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা যত উন্নত হবে, মানুষের এই সম্পর্কে ধারণায় তত পরিবর্তন হবে। এখন পর্যন্ত আমরা এইটুকুই আন্দাজ করতে পারি। আল্লাহ্ই জানেন তিনি কিভাবে কদর সৃষ্টি করেছেন। এধরনের ব্যপার মানুষের জন্য চিন্তা করাটা কঠিন কারণ মানুষ সময়ের মধ্যে বাস করে এবং সময়ের বাইরে কোন কিছু তারা চিন্তা করতে পারেনা। আমাদের ভাষায় অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ এর বাইরে আর কোন শব্দ নেই। যেহেতু আমাদের ভাষায় এর বাইরে কোন শব্দ নেই, সেহেতু আমরা সময়ের বাইরে কিছু কল্পনাও করতে পারিনা।
বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ
- http://eshaykh.com/doctrine/destiny-before-adam-created/
- http://www.deenresearchcenter.com/LinkClick.aspx?fileticket=6BnFlF8OBx8%3D&tabid=94&mid=511
- http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=articles&id=97118
“আল্লাহ থাকতে এতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেন? এতো ভুমিকম্প হয় কেন? বন্যা হয় কেন? এতো মানুষ মারা যায় কেন?”
এক বিংশ শতাব্দীতে গত দশ বছরের গড় হিসাব করলে প্রতি বছর গড়ে ৭০,০০০ মানুষ মারা যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। কিন্তু মানুষের দোষের কারণে কত মানুষ মারা যায় জানেন?
-
শুধু এইডসে গড়ে বছরে ১৮ লক্ষ মারা যায় এবং ২০১০ সালে সাড়া পৃথিবীতে ৩.৪ কোটি এইডস আক্রান্ত মানুষ পাওয়া গেছে।
-
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো যুদ্ধে ৩৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছে।
-
রাস্তায় দুর্ঘটনায় বছরে ১২ লক্ষ মানুষ মারা যায়।
এরকম শত শত পরিসংখ্যান রয়েছে যা প্রমাণ করে পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষ মারা যায় মানুষেরই ভুলের কারণে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুব কমই মারা যায়।
এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই হয় মানুষের কারণে। যেমন নদীতে অপরিকল্পিত বাধ দেবার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে খরা সৃষ্টি হয়। তারপর খরা থেকে শুরু হয় দুর্ভিক্ষ, মহামারি। নিয়ন্ত্রণহীন গাছ উজার করার ফলে হয় অনাবৃষ্টি এবং মাটির পানি শোষণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে হয় বন্যা, নদী ভাঙ্গন। তারপর বন্যা থেকে মহামারি, দুরভিক্ষ। ফ্যাক্টরির বর্জ্য নদীতে ফেলে নদী দূষণের কারণে হয় মহামারি, খাবারের অভাব, দুর্ভিক্ষ, এবং ব্যাপক পরিবেশ দূষণ, যার কারণে মানুষের নানা ধরণের জটিল অসুখ হয়। কোটি কোটি টন মানুষের বর্জ্য নদী থেকে সমুদ্রে ফেলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট, মহামারি, ক্যানসার সৃষ্টি ইত্যাদি।
আল্লাহ কখনও কোন জাতির উপরে দেয়া তাঁর অনুগ্রহকে বদলান না, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেদেরকে বদলিয়ে না ফেলে। (৮:৫৩)
আমরা কত ভাবে প্রকৃতির ক্ষতি করি এবং প্রকৃতি কত ভাবে সেই ক্ষতি গুলোকে সংশোধন করার চেষ্টা করে তা দেখতে হলে এই অসাধারণ ডকুমেন্টারিটি দেখুন। আপনার পৃথিবী সম্পর্কে শ্রদ্ধা হাজার গুণে বেড়ে যাবে যখন আপনি দেখবেন পৃথিবীতে কত হাজার ধরণের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান দিয়ে তৈরি করে রেখেছেন মানুষের অবাধ দূষণ পরিস্কার করার জন্য। কিন্তু তারপরেও মানুষ সীমালঙ্ঘন করে এবং তার ফলাফল ভোগ করে।
মানুষের কোনই হাত নেই এমন কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ হল – সুনামি, ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরি এবং উল্কাপাত। এখন সুনামি, আগ্নেয়গিরি এবং ভুমিকম্প প্রবণ এলাকা গুলো মানুষ ভালো করেই জানে। তারা সেখান থেকে সরে গেলেই পারে। কিন্তু তারা সেটা করে না। বাপ-দাদার ভিটামাটি আকরে ধরে থাকার এক অন্ধ মোহ আছে তাদের মধ্যে। তারা ভূমিকম্পে, সুনামিতে, যুদ্ধে মারা যাবে, কিন্তু তারপরেও সেখান থেকে তারা সরে যাবে না। তারা অমুসলিম, অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারে জীবন পার করবে, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া এত বড় পৃথিবীতে অন্য কোথাও গিয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে না। এদের জন্য আল্লাহ বলেছেনঃ
যখন ফেরেস্তারা ঐসব লোকদের আত্মাকে নিয়ে যাবে যারা নিজেদের উপরে অত্যাচার করছিল এবং জিজ্ঞেস করবে, “তোমরা কি অবস্থায় ছিলে?” তারা উত্তর দিবে, “আমরা দুর্বল/অত্যাচারিত/অসহায় অবস্থায় ছিলাম।” ফেরেস্তারা বলবে, “আল্লাহর পৃথিবী কি যথেষ্ট বড় ছিল না, তোমাদের অন্য কোথাও চলে যাবার জন্য?” ঐসব লোকদের আশ্রয় হবে জাহান্নাম, এক জঘন্য গন্তব্য। কিন্তু সেসব সত্যিকারের অসহায় পুরুষ, মহিলা এবং বাচ্চারা ছাড়া ,যাদের নিজেদের কোন সামর্থ্য ছিল না এবং যাদের অন্য কোন পথও ছিল না। (৪:৯৭-৯৮)
তবে শুধু অসহায় মানুষদেরই যে সবসময় দোষ তা নয়। মানুষ তার স্বার্থপর রাজনৈতিক নিয়ম দিয়ে আল্লাহর দেওয়া পৃথিবীকে ‘দেশ’ নামের ১৯৬টা ভাগে ভাগ করে এবং ‘ভিসা’ নামের একটি ব্যবস্থা করে এমন ব্যবস্থা করে রেখেছে যে গরিব অসহায় মানুষগুলোকে ভুমিকম্প, সুনামি প্রবণ এলাকাগুলোতে অসহায় ভাবে বন্দি থাকতে হবেই। আল্লাহর দেওয়া এই বিশাল পৃথিবীতে এতো খালি জায়গা আছে, সেখানে গিয়ে তারা শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারবে না। এর জন্য আল্লাহকে দোষ দিয়ে তো কোন লাভ নেই। মানুষ কত স্বার্থপর হতে পারে তা কিছুদিন আগে বার্মাতেই দেখা গেছে। হাজার হাজার গরীব মুসলমান গণহত্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য, দিনের পর দিন না খেয়ে সমুদ্রে ভেসে বাংলাদেশে আসলো একটু আশ্রয় পাবার জন্য, আর বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে ভিসা না থাকার জন্য ফেরত পাঠিয়ে দিল। এধরণের চরম অমানুষিকতার পরেও বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ যে পরের দিনই ভুমিকম্পে ধসে মারা যায়নি তার কারণ আল্লাহ নিরন্তর করুণাময়, চরম ধৈর্যশীল।
অনেকে প্রশ্ন করেন, আল্লাহ কেন পৃথিবীকে এমনভাবে তৈরি করলো না যাতে করে পৃথিবীতে কখনও বন্যা, খরা, মহামারি, ভুমিকম্প না হয়? আল্লাহর তো সব ক্ষমতাই আছে। তিনি কি ইচ্ছা করলেই এমন একটা পৃথিবী তৈরি করতে পারতেন না যেখানে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় না?
সহজ উত্তর – হ্যা, তিনি পারেন এবং তিনি বেহেশত তৈরি করেছেন যেখানে কোন বন্যা, খরা, মহামারি, ভুমিকম্প হয় না। পৃথিবী তৈরির উদ্দেশ্য ছিল না পৃথিবীকে আরেকটা বেহেশত বানানোর।
আর যারা আরও বিস্তারিত জানতে চান কেন পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টির জন্য ভুমিকম্প প্রয়োজন, কেন খরা না থাকলে প্রাণ বিলুপ্ত হয়ে যেত – তারা এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে পৃথিবীর নিজেকে দূষণ মুক্ত করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার একটি সহজাত প্রক্রিয়া। মানুষ ব্যাপক দূষণ করার পরেও পৃথিবীকে বসবাস যোগ্য রাখার জন্য আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান দিয়ে হাজার হাজার স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে রেখেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার মধ্যে একটি।
আল্লাহর বিরুদ্ধে আরেকটি সাধারণ অভিযোগ হল আল্লাহ কেন পৃথিবীতে এত মানুষ পাঠাল, কিন্তু তাদের জন্য যথেষ্ট খাবার, প্রাকৃতিক সম্পদ, জায়গা দিয়ে পাঠাল না। এটি একটি বিরাট ভুল ধারণা যে পৃথিবীতে এত যে গরিব মানুষ তার মূল কারণ পৃথিবীতে সম্পদের অভাব। পৃথিবীত মাত্র ১% মানুষ পুরো পৃথিবীর ৪৮% সম্পদ দখল করে রেখেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ১০% মানুষ পুরো পৃথিবীর ৮৫% সম্পদের অধিকারী! মোট জনসংখ্যার অর্ধেক, যা কিনা প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ, আজকে পৃথিবীর মোট সম্পদের মাত্র ১% এর উপর বেঁচে আছে!
শুধু তাই না, মাত্র ২% ধনী মানুষগুলো পুরো পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি বাড়ি এবং জমির মালিক। বাকি অর্ধেক জমি এবং বাড়ির মধ্যে বাকি ৯৮% জনসংখ্যা বসবাস করছে। মানুষের মধ্যে আজকে যে এই চরম বৈষম্য তার কারণ ক্যাপিটালিস্ট অর্থনীতি, লোভ এবং দুর্নীতি। সুদ আরেকটি বড় কারণ যা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে বড় লোকরা বসে বসে আরও বড় লোক হয়, আর মধ্যবিত্ত এবং গরিবরা অমানুষিক খাটার পরেও দিনে দিনে আরও গরিব হতে থাকে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, পুরো পৃথিবীর সব মানুষকে, পুরো ৬ বিলিয়ন মানুষের প্রত্যেকে একটি বাসা এবং সামনে একটি ছোট বাগান দিলেও পৃথিবীর সব মানুষকে যুক্তরাজ্যের এক টেক্সাস অঙ্গরাজ্যেই জায়গা দেওয়া যাবে। আল্লাহ আমাদেরকে এক বিরাট পৃথিবী দিয়েছেন, কিন্তু মাত্র ২% লোভী মানুষের কারণে আজকে ১.৬ বিলিয়ন মানুষ দিনে একবেলাও খেতে পারে না।
আল্লাহ কখনই মানব জাতির কোন ক্ষতি করেন না, বরং মানুষরাই মানুষের ক্ষতি করে। (১০:৪৪)
আল্লাহ মানুষকে যথেষ্ট সময় দেন নিজেদেরকে শোধরানোর জন্য। তারপরেও যখন মানুষ শোধরায় না, তখন বিরাট কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, বিপুল পরিমাণের সম্পত্তির ক্ষতি হয় যা ধনীদের কুক্ষিগত থাকে, প্রচুর অসহায় মানুষ মারা যায়, যাদের জীবনটা ইতিমধ্যেই পশুর চেয়েও অধম ছিল। তারপর যে মানুষগুলো বেঁচে থাকে, তারা আবার নতুন করে সভ্যতার শুরু করে। এরকম আগে অনেকবার হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও হবার সম্ভাবনা আছে, হয়তো এই বছরই সেটা হতে পারে।
“মুসলমানরা কেন আজকে সবচেয়ে দুর্বল, পশ্চাদপদ, নিপীড়িত জাতি?”
এটা নির্ভর করে আপনাকে কে শিখিয়েছে দুর্বল, পশ্চাদপদ, নিপীড়িত জাতির সংজ্ঞা? আমেরিকা? ব্রিটেন? যে দেশে প্রতি ঘন্টায় ৭৮ টা ধর্ষণ হয়, সেই দেশের চেয়ে পশ্চাদপদ দেশ কোনটা আছে পৃথিবীতে? যে দেশে ৬০% দম্পতি তালাক দেয়, তাদের চেয়ে দুর্বল জাতি কোনটা? যে জাতি বছরে ৬.৪ বিলিয়ন পাউন্ড নষ্ট করে এলকোহল জনিত অর্থনৈতিক ক্ষতিতে, ৭.৩ বিলিয়ন পাউন্ড এলকোহল জনিত অপরাধ দমনে, ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড এলকোহল আসক্ত মানুষদের চিকিৎসায়, এবং বছরে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয় এলকোহল জনিত অসুস্থতা ও অপরাধের কারণে – তাদের চেয়ে দুর্বল, পশ্চাদপদ, নিপীড়িত জাতি কোনটা?
চিন্তা করতে পারেন কত বড় সময় এবং সম্পদের অপচয় এগুলো? এক ব্রিটেনের ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে সাড়া পৃথিবীর ১.৬ বিলিয়ন গরিব মানুষের অভাব দূর করে ফেলা যেত। প্রতি বছর আমরা পৃথিবী থেকে সমস্ত অভাব দূর করে ফেলতে পারতাম এই এলকোহলের কারণে নষ্ট করা সময় এবং সম্পদ দিয়ে। একটা মানুষকেও আর না খেয়ে মারা যেতে হত না। কিন্তু সেটা না করে একদিকে আমরা বিলিয়ন পাউন্ড নষ্ট করছি মদ খাওয়ার ফলে যত ঝামেলা হয় সেগুলো ঠিক করতে গিয়ে, অন্যদিকে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার বাচ্চা মারা যাচ্ছে ময়লা পানি খেয়ে, আঠারো হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে খেতে না পেরে।
আপনি একটা জাতিকে শুধুই তার অর্থনীতি আর প্রযুক্তি দিয়ে বিচার করলে তো হবে না। তাদের নৈতিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক দিকগুলো তো দেখতে হবে। একদিকে তারা চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে অন্যদিকে তারা তেল, সোনা এবং হীরার লোভে আফ্রিকাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন করছে, ঘণ্টায় ৭৮টা ধর্ষণ করছে, ৯৭% ধর্ষণকারীকে একদিনও জেল খাটতে হয়না; যেই দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ Obese এবং তাদের চিকিৎসায় বছরে ১২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়- সেই দেশকে আপনি যদি ‘উন্নত জাতি’ বলেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার বিচার বুদ্ধিতে সমস্যা আছে।
ধরুন আপনি আপনার মেয়েকে আমেরিকাতে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালেন পড়ার জন্য। কয়েক দিন পর সে ক্যাম্পাসে ধর্ষিত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফেরত আসলো। আপনি কি তারপরেও বলবেন পশ্চিমা দেশগুলো উন্নত জাতি? আপনি জানেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রতি চারটা মেয়ের মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হয়? তাও আবার প্রথম বছরেই? তার মধ্যে ৮৪% মেয়ে কোনদিন কাউকে জানতে দেয় না সেই ঘটনা?
গরীব মুসলিম দেশগুলো সেই তুলনায় কত ভালো আছে, চিন্তা করে দেখুন।
দ্বিতীয়ত, মুসলিম দেশের সংজ্ঞা কি? বাংলাদেশ কি মুসলিম দেশ? আপনি যদি বলেন হ্যা, তাহলে আপনার ইসলামিক রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক ধারনা নেই। বিশ্বের যে দেশগুলোতে ইসলামিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি কার্যকর, যাদেরকে ‘ইসলামিক দেশ’ বলা যেতে পারে, সেগুলো হল সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ইরান, লিবিয়া ইত্যাদি। সেগুলোর একটাও দুর্বল, পশ্চাদপদ, নিপীড়িত জাতি নয়।
“কেন ধর্মের নামে সবচেয়ে বেশি খুনাখুনি, যুদ্ধ? আল্লাহ থাকলে তা হয় কিভাবে?”
বিংশ শতাব্দীর আগে যত হত্যা হয়েছে, তার মধ্যে ৩% হত্যা ধর্মীয় ঘটনার সাথে জড়িত। বাকি ৯৭% হত্যা যুদ্ধ, রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক কারণে।
নাস্তিকরা এই বিংশ শতাব্দীতে ১৫ কোটির বেশি মানুষ খুন করেছে। পুরো বাংলাদেশের জনসংখ্যার সমান মানুষ তারা এই বিংশ শতাব্দীতেই মেরে শেষ করেছে।
১৯১৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মোট ১৪.৮ কোটি মানুষ মারা গেছে ৫২ জন নাস্তিকের কারণে, যা পুরো বিংশ শতাব্দীতে যুদ্ধ, গৃহ যুদ্ধ এবং সকল অন্যয়ের কারণে মারা যাওয়া মোট জনসংখ্যার চেয়ে ৩ গুণ বেশি! নোবেল পুরস্কার জয়ী Aleksandr Solzhenitsyn পঞ্চাশ বছর ধরে গবেষণা করে বের করেছেন যে রাশিয়াতে যে ৬ কোটি মানুষ মারা গেছে কমিউনিজমের কারণে, তার আসল কারণ নাস্তিকতা।
সুতরাং ধর্মীয় কারণে যে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, সবচেয়ে বেশি খুনাখুনি হয়, সবচেয়ে বড় যুদ্ধগুলো হয় – এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি মিডিয়ার মগজ ধোলাইয়ের শিকার, আর কিছু না। টিভিতে যা দেখেন এবং পত্রিকায় যা পড়েন, সেটাই বিশ্বাস না করে যথাযথ সরকারী পরিসংখ্যানগুলো পড়ে দেখুন। যেহেতু মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নাস্তিকদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, তাই তারা কৌশলে এইসব তথ্য ধামাচাপা দিয়ে রাখে এবং ধর্মের নামে কিছু ঘটলে সেটাকে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করে।
“শুধু মুসলমানরাই এতো সন্ত্রাসী, টেররিস্ট হয় কেন?”
১৯৮০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে অ্যামেরিকাতে মাত্র ৬% আক্রমণ হয়েছে মুসলমান চরমপন্থিদের দ্বারা, বাকি ৯৪% আক্রমণ হয়েছে ল্যাটীনো, বামপন্থি চরম পন্থি, ইহুদি চরমপন্থি, কম্যুনিস্ট, এবং অন্যান্য সংগঠন দিয়ে।
একই ভাবে ইউরোপে ৯৯.৬% আক্রমনের পেছনে কোন মুসলিম দলের হাত নেই।
যেমন ২০০৬ সালের ইউরোপের পরিসংখ্যান দেখুন। একটি মাত্র আক্রমণ ইসলাম চরমপন্থীদের দ্বারা আর বাকি ৪৯৭ আক্রমণ বিভিন্ন দলের দ্বারা।
এই পরিসংখ্যানগুলো আমেরিকা এবং ইউরোপের সরকারি পরিসংখ্যান থেকে নেওয়া। বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
সুতরাং যারা বলে মুসলমানরাই খালি টেররিস্ট হয়, তারাই শুধু মারামারি, খুনা খুনি করে, কাশ্মীরের উদাহরণ দেয় – তারা আসলে মিডিয়ার মগজ ধোলাইয়ের শিকার, আর কিছু না। টিভিতে যা দেখেন এবং পত্রিকায় যা পড়েন সেটাই বিশ্বাস না করে যথাযথ সরকারী পরিসংখ্যানগুলো পড়ে দেখুন। যেহেতু ইসলাম প্রচার হলে এবং ইসলামিক আইন ব্যবস্থা আসলে পৃথিবীর বেশিরভাগ ধনী এবং খমতাবান মানুষকে তাদের বিশাল সম্পত্তি, অন্যায় ব্যবসা, মদ, জুয়া, নারী সঙ্গ সবকিছু ছেড়ে দিতে হবে, সেহেতু তারা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে হাত করে রেখে যেভাবে সম্ভব ইসলামের নামে অপপ্রচার করে ইসলামকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য।
“আল্লাহ যদি সত্যিই অতি দয়ালু হয় তাহলে দোযখ বানিয়ে মানুষকে এতো কষ্ট দিবে কেন? এই জীবনে অল্প কয়েক বছরের কিছু দোষের জন্য দোযখে এতো ভয়াবহ শাস্তি পেতে হবে – এটাতো অন্যায়”
হিটলার প্রায় ছয় লাখ মানুষ মেরে গেছে। তাকে যদি ছয় লাখ বার আগুনে ঝলসানো হয় তাহলে কি তাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে? যতদিন পর্যন্ত মানুষ বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত হিটলারের এই গণহত্যার কারণে যেই ক্ষতিটা হয়ে গেছে, তাকে তার জন্য ছয় লাখ বার আগুনে ঝলসালেও কিছুই হবে না। তাকে ছয় কোটি বার ফুটন্ত পানিতে চুবালেও সেই ছয় লক্ষ মানুষের পরিবারের কষ্টের সমান কষ্ট দেওয়া হবে না। সেই ছয় লক্ষ মানুষ যে কয়েক কোটি মানুষকে জন্ম দিতে পারতো, তার উসুল হবে না।
“আমরা তো হিটলার না। আমরা তো মানুষ খুন করছি না, বা তেলের লোভে যুদ্ধ করছিনা, অথবা গরীব মানুষের টাকা মেরে দিচ্ছিনা। আমাদেরকে কেন আল্লাহ ফুটন্ত পানিতে ঝলসাবে, আগুনে চামড়া পুড়িয়ে আবার নতুন চামড়া দিবে বার বার কষ্ট দেবার জন্য? আমরা এমন কি দোষ করলাম যার জন্য এত ভয়াবহ শাস্তি পাবো?”
আমাদের প্রতিটা দোষের ফলাফল এবং প্রভাব যে কত ব্যাপক, সেটা আমরা কখনও ঠিকভাবে চিন্তা করে দেখিনা। আমরা অনেকেই মনে করি – আমরা যেসব পাপ করি সেগুলো ছোটখাট ব্যপার। এর জন্য আল্লাহ আমাদেরকে এত বড় শাস্তি দিবেন না। কয়েকটা দিন হয়তো দোযখে একটু কষ্ট করবো, ব্যাস, তারপরেই মুক্তি। এধরণের মানুষদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছেনঃ
তারা বলে, “আগুন আমাদের মাত্র কয়েকটা দিনই স্পর্শ করবে”। তাদেরকে বল, “তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছ – কারণ আল্লাহ কখনো অঙ্গীকার ভাঙেন না? নাকি তোমরা আল্লাহর সম্পর্কে এমন কিছু বল যা নিয়ে তোমাদের কোনই জ্ঞান নেই?” (২:৮০)
কিছু উদাহরণ দেই।
উদাহরণ – ১
আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে বসে একদিন একটা অশ্লীল হিন্দি গান দেখলেন। আপনার কাছে ব্যাপারটা কিছুই না, কারণ আপনার বয়স চল্লিস, আপানার চোখ এসব দেখতে দেখতে ইতিমধ্যে ঝলসে গেছে। আপনার কাছে এগুলো আর গায়ে লাগে না। কিন্তু আপনার ১১ বছরের যৌন আকাঙ্ক্ষায় টগবগে কিশোরের গানের একটা শট দেখে মাথা ঘুরে গেল। সে দিনে রাতে যখনি চোখ বন্ধ করে তখনি সেই শটটা বার বার দেখতে পায়। তারপর থেকে তার বাথরুমে গোসল করতে আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগা শুরু হল, সে তার ঘরের দরজা লক করে থাকা শুরু করলো, বন্ধুর বাসায় গিয়ে রাতে দেরি করে ফেরা শুরু হল, নানা কারণে দিনে রাতে যখন তখন বাসার বাইরে যাওয়া আসা আরম্ভ হল। এখান থেকে শুরু হল তার পতন। একসময় সে বিয়ে করলো এবং তার দীর্ঘ দিনের বদভ্যাসের ফলে শারীরিক সমস্যার কারণে বিকলাঙ্গ, না হয় অসুস্থ সন্তানের জন্ম দিল। তার পরিবারে চরম অশান্তি নেমে আসলো। সারাটা জীবন তাকে চরম কষ্ট করে, তার পোড়া কপালের জন্য আল্লাহকে দোষ দিয়ে, এক দুর্বিষহ জীবন পার করতে হল।
আপনি এটা পুরোটাই প্রতিরোধ করতে পারতেন হিন্দি গানটা শুরু হবার সাথে সাথে চ্যানেল পালটিয়ে দিয়ে এবং জোরে জোরে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলে ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে যে হিন্দি গান দেখাটা একটা খুবই খারাপ জিনিস। আপনার ছেলে আপনার ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝত, এটা খুবই খারাপ কাজ এবং তারপর সে তার বাকি জীবনটা সংযত রাখত। সে আগামী বিশ বছর প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে বাথরুমে সময় নষ্ট না করে বিশ বছরে প্রায় ৩,৬৫০ ঘণ্টা কোন ভালো কাজ করে ব্যাপক পুণ্য অর্জন করতে পারত।
একটি ছেলের জীবন নষ্ট করে, সে যত ভালো কাজ করতে পারত এবং সেই ভালো কাজগুলোর জন্য যত মানুষের যত উপকার হত সেটা না হতে পারার জন্য; তার স্ত্রী, সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ির সারাজীবন দুখের জন্য এবং একটি বিকলাঙ্গ বা অসুস্থ প্রজন্মের শুরু করার জন্য আপনাকে যদি আল্লাহ কয়েক হাজার বার চামড়া আগুনে পুড়িয়ে আবার নতুন চামড়া দেন, আপনি কি বলবেন শাস্তিটা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেছে? আপনি কি তখন চিল্লাচিল্লি করবেন – “আমিতো একটা হিন্দি গানই দেখেছিলাম!”
(জাহান্নামে তাদেরকে বলা হবে) “তোমাদেরকে কি আমার বাণী বার বার শোনানো হয় নি? তারপরেও কি তোমরা অমান্য করনি?” তারা বলবে, “ও আমাদের প্রভু, আমরা আমাদের উচ্ছৃঙ্খলতা/অবাধ্যতায় ডুবে ছিলাম, আমরা একটা বিভ্রান্ত জাতি ছিলাম। ও আমাদের প্রভু, আমাদেরকে এখান থেকে উদ্ধার করুন। আমরা যদি এরপরেও একই কাজ করি, তাহলে আমরা সত্যিই অন্যায়কারী।” (২৩:১০৫-১০৭)
উদাহরণ – ২
একদিন সকালে আপনি আপনার ড্রাইভারকে একটা চড় মেরে তেল আনতে পাঠালেন। ড্রাইভার রাগে গজ গজ করতে করতে উল্টাপাল্টা গাড়ি চালিয়ে রাস্তায় আরও দশ জন মানুষের মেজাজ খারাপ করে পেট্রোল পাম্পে গেল। সেই দশ জন মানুষ তাদের মেজাজ খারাপটা ছাড়ল রাস্তার আরও বিশ জন মানুষের উপর। সেই ত্রিশ জন লোক বাসায় ফিরে ত্রিশটা পরিবারের একশ জন সদস্যর উপর মেজাজ ছাড়ল। সেই একশ পরিবারের সদস্য তাদের মনের ঝাল মেটাল তাদের হাজার খানেক বন্ধু, আত্মীয়ের উপর।
আপনি সেদিন ড্রাইভারকে চড় মেরে একটা চেইন রিয়েকশন শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই চেইন রিয়েকশনের ভুক্তভুগি হাজার হাজার মানুষের কষ্টের জন্য আপনি দায়ী। আপনাকে যদি একটা চড় মারার জন্য জাহান্নামে এক লক্ষ বার লাঠি দিয়ে পেটানো হয়, আপনি কি বলবেন, “দোযখের শাস্তি এতো কঠিন কেন?”
তুমি যদি দেখতে পেতে, যখন অপরাধীরা মাথা নত করে বলবে, “ও আমাদের প্রভু, আমরা দেখলাম এবং শুনলাম। আমাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দিন। এবার আমরা ভালো কাজ করবো। আমরা এবার নিশ্চিতভাবে বুঝতে পেরেছি। ” (৩২:১২)
উদাহরণ – ৩
ধরুন আপনার স্বামী (বা স্ত্রীর) সাথে তুমুল ঝগড়া হল। যার ফলে আপনি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে গেলেন এবং শয়তান এই সুযোগ নিয়ে আপনাকে টিভিতে হিন্দি গান দেখার, ফেইসবুকে ফ্লার্ট করার অথবা মোবাইলে পরকীয়া করার সুযোগ করে দিল। যেহেতু ঝগড়া করে আপনি এমনিতেই মানসিকভাবে দুর্বল, আপনি নোংরামি থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারলেন না, বরং এক ধরণের প্রতিশোধ নেবার মনোভাব থেকে – “আমার সাথে ঝগড়া করেছ? দাঁড়াও, আমি এখন বেশি করে পর্ণ দেখে, ফেইসবুকে আমার বয়ফ্রেন্ড/গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ফ্লার্ট করে তোমাকে মজা দেখাচ্ছি” – এই মনে করে আপনি পাপে ডুবে গেলেন।
এখন আপনি দাবি করবেন, “ঝগড়া করে মেজাজ খারাপ ছিল, এজন্য এসব করেছি। এটা কোন মহা পাপ না, একটা মামুলি ঘটনা।”
এই মামুলি ঘটনা থেকে যদি আপনার অন্যায়ের তালিকা তৈরি করি, তাহলে কমপক্ষে এই কয়েকটা কারণে আপনাকে আল্লাহর আদালতে অভিযুক্ত করা যাবেঃ
- পরিবারের সদস্যের সাথে অসাদাচারন।
- পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি।
- পরিবারের সদস্যের সাথে বেইমানি করা।
- শয়তানের সাথে সহযোগিতা করা।
- নিজের ঈমান দুর্বল করা।
- ঈমান দুর্বল হবার কারণে ভবিষ্যতে করা সকল পাপ কাজ।
- অন্যের অন্যায় সমর্থন করা।
- অন্যের কাছে অন্যায় প্রচার করা।
- অশ্লীলতা গ্রহন এবং প্রচার করা, অশ্লীল সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে তাদের উপার্জন বৃদ্ধি করা।
- অশ্লীল কাজে একাধিক মানুষের সময়ের অপচয়।
- অশ্লীল কাজে বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয়।
- অশ্লীল কাজে পারিবারিক সম্পদের অপচয়, যা আপনার পরিবারের সদস্যদের হক।
এত সব অন্যায়ে অভিযুক্ত করে আপনাকে যদি লক্ষ বার অতি উত্তপ্ত পানিতে চুবিয়ে ঝলসানো হয়, তাহলে কি বেশি শাস্তি দেওয়া হবে?
আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা চিন্তা করিনা আমাদের প্রতিটি কথা এবং কাজের ফলাফল কত ব্যাপক। আমরা মনে করি আমরা যখন একজনকে কিছু বলি, বা একজনের সাথে কিছু করি, তার প্রভাব শুধুই তার উপর এবং তার কাছের মানুষের উপর পড়বে। কিন্তু তা নয়। আমাদের প্রতিটা কথা এবং কাজ সমাজে একটা চেইন রিয়েকশন শুরু করে দেয়। এমনকি ইন্টারনেটের বদলে আজকাল তার প্রভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকটা খারাপ কথা বা কাজের জন্য আমাদেরকে দুই এক বার শাস্তি দিলে সেটা নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার হবে না? বরং আমাদের কোন খারাপ কথা বা কাজের জন্য পৃথিবীতে যত মানুষের যত ক্ষতি হবে, তার সমান শাস্তি আমাদেরকে দিতে হবেই, যদি সত্যিই ন্যায়বিচার করতে হয়।
সালাম।
বিঃদ্রঃ তৃতীয় পর্ব লেখার মত কোন বড় ধরণের সমস্যা পাচ্ছিনা। যদি চান তৃতীয় পর্ব হোক, তাহলে এই দুই পর্বের বাইরে জটিল কিছু সমস্যা পাঠান।
Can you please write about Allah’s commands on how to treat wives? What are the punishments mentioned if a husband tortures his wife? How to bring such a husband to justice.
Thank you for the article. Masha’allah, it is very helpful.
choto acta proshno holo – desher baire gele kano manush dhormo pran hoi ba practicing muslim hoi, desh (Bangladesh) e thakle kano thake na?
দেশে ধর্ম প্রাণ মুসলমান নেই আপনাকে কে বলল? দেশে লক্ষ লক্ষ আছে। বিদেশে হয়তো হাজারে হাজারে।
তবে দেশের মানুষের মধ্যে চক্ষু লজ্জা বেশি। তারা ‘লোকে কি বলবে’ এই চিন্তা করে আল্লাহকে এখনও তাদের প্রভু হিসেবে ঠিকমত মানতে পারে না। ‘সমাজ’ এবং ‘লোকে কি বলবে’ এখনও মানুষের কাছে আল্লাহর থেকেও বড় প্রভু।
– Jukti diya dhormo bujha ba bhujha no ta ki khub shomichin?
– Dhormo r jokti ki ac shathe aste pare?
– Dhormo jodi jukti diya promanito hoi ba proman kora shomvob hoi, tobe ki ta bosto goto hoiya jai
– Dhormo bujhbar jonno ki biggan joruri?
– Biggan diya jodi dhormer purno bakkha jodi kore fela jai, tobe kichu din pore jodi biggan bodle jai, tobe ki dhormo bodle jabe?
আল্লাহর কাছে চিন্তা এবং যুক্তির গুরুত্ব কতখানি তা জানতে এই আর্টিকেলটা পড়ুন-
http://blog.omaralzabir.com/2012/07/24/important-of-thinking/
তবে মনে রাখবেন, যুক্তির একটা সীমা আছে। কু’রআনকে কোন ভাবেই যুক্তি দিয়ে বিরোধিতা করা যাবে না। অন্যান্য আনুষঙ্গিক উৎস গুলোর বেলায় যুক্তির প্রয়োগ করতে হবে।
*** কু’রআনকে কোন ভাবেই যুক্তি দিয়ে বিরোধিতা করা যাবে না। ***
tahole eto koshto kore bojhanor cheshta na korleo cholto… apnader moto reverse engineer der karone puro musolman community ekta confussion er moddhe thake… je jei dhormo nye jonmo grohon koreche, she shei dhormo ki shera mone kore…. kono dhormo konotar theke better na! eto bigyan ar dhormo nia kotha bolen… adhunik kon abishkar te koran pore abishkar hoyeche? shobai bole koran e lekha chilo…. to 1400 bochoreo kono hafiz kichu uddhar korte parenai…. ai adhunik juge tothakothito kafer ra shob abishkar korlo (emonki ei internet o)… apni nishchoi oishob arab/parsian bigyani der kotha bolben… unara koran theke shikhen nai… oddhaboshay ar maddhome gyan and bigyan e shofolota payechen….
রবিন,
যেহেতু আপনি দাবি করছেন কোন মুসলিম বিজ্ঞানী কু’রআন থেকে শিখে কিছু আবিস্কার করেনি, তাহলে আপনাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করেন – কোন মুসলিম বিজ্ঞানী কু’রআন থেকে কিছু শিখে কোন কিছু আবিস্কার করে নি। মুসলিম বিজ্ঞানীদের যত আবিস্কার আছে তার একটা তালিকা তৈরি করুন এবং দেখান যে সেগুলোর কোনটাই কু’রআন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আবিস্কার করা হয়নি। নিজের মত দিবেন না, প্রতিটি বিজ্ঞানির জীবনী থেকে রেফারেন্স দিবেন।
যেদিন সেটা প্রমাণ করতে পারবেন, সেদিন আসুন কথা বলি।
যতদিন না পারছেন, একটা উদাহরণ দিচ্ছি, চিন্তা করতে থাকুনঃ
গ্যালিলিও ১৬০০ সালের দিকে প্রমাণ করেন পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়, বরং সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘুরছে। তিনি দূরবীন আবিস্কার করে তা নিজের চোখে দেখে সেটা প্রমাণ করেছিলেন। কিন্তু তার ৪০০ বছর আগে, বিখ্যাত মুসলিম তাফসির লেখক ফখর আল-দিন আল-রাজি, তার তাফসিরে কু’রআনের আয়াত পড়ে নিশ্চিত ভাবে ঘোষণা দিয়ে গেছেন যে গ্রিক হেলিওসেন্ত্রিসম ভুল, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়। তার কোন দূরবীন ছিল না। শুধুই কু’রআনের আয়াত পড়ে তিনি বলে গেছেনঃ
It is established by evidence that there exists beyond the world a void without a terminal limit (khala’ la nihayata laha), and it is established as well by evidence that God Most High has power over all contingent beings (al-mumkinat). Therefore He the Most High has the power (qadir) to create a thousand thousand worlds (alfa alfi ‘awalim) beyond this world such that each one of those worlds be bigger and more massive than this world as well as having the like of what this world has of the throne (al-arsh), the chair (al-kursiyy), the heavens (al-samawat) and the earth (al-ard), and the sun (al-shams) and the moon (al-qamar). The arguments of the philosophers (dala’il al-falasifah) for establishing that the world is one are weak, flimsy arguments founded upon feeble premises.
http://en.wikipedia.org/wiki/Fakhr_al-Din_al-Razi
এখন আপনি খ্যাক করে উঠবেন, “তাতে কি, আল-রাজি তো প্রমাণ করেনি পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়। গ্যালিলিও তো প্রমাণ করে গেছেন”। আল-রাজির দূরবীন ছিল না, তার কাছে দুরবিনের কোন প্রয়োজনও ছিল না। আল্লাহর বাণী তার কাছে যথেষ্ট। গ্যালিলিও যতদিন দূরবীন বানাতে পারেন নি, ততদিন তিনিও তার থিওরি প্রকাশ করেন নি। গ্যালিলিও দূরবীন বানিয়ে আল-রাজির থিওরিকেই প্রমাণ করে গেছেন। যেহেতু আপনার কথা হচ্ছে কোন মুসলিম আলেম কেন কু’রআন পড়ে কোন কিছু আবিস্কার করে না, সেই আবিস্কারের সংজ্ঞা অনুসারে আল-রাজি কু’রআন থেকে আবিস্কার করে গেছেন যে পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় এবং তিনি তার সমসাময়িক গ্রিক ফিলসফারদের ভুল প্রমাণ করে গেছেন।
আরেকটা চিন্তা করার ব্যপার দেইঃ
ইসলাম আসার আগে আরব জাতিগুলো ছিল অন্যান্য জাতি গুলোর মতই চরম পশ্চাদপদ, জঘন্য সব সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক নীতিতে ভরা নষ্ট কিছু জাতি।
ইসলাম আসার পরে ৮০০ থেকে ১২০০ শতাব্দী পর্যন্ত ছিল আরবদের স্বর্ণ যুগ, ঠিক যেই সময়টাই ছিল ইউরোপিয়ানদের ‘অন্ধকার যুগ’।
কিভাবে আরব জাতি গুলো, একদম জঘন্য অবস্থা থেকে বিজ্ঞান, দর্শন, গণিত, চিকিৎসা, রাজনীতি সব দিকে হঠাৎ করে এত এগিয়ে গেল যেখানে কিনা বাকি পৃথিবী সব জাতি, বিশেষ করে ইউরপিয়ান জাতি গুলো তাদের খ্রিস্টান শিক্ষা নিয়ে চরম অন্ধকারে ডুবে ছিল এবং সেই ৪০০ বছর ছিল ইউরোপিয়ানদের স্বীকৃত Dark Age?
আপনি যদি দাবি করেন যে হঠাৎ করে মুসলমানদের এই অগ্রগতির জন্য কু’রআনের কোনই অবদান নেই, তাহলে আপনাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে।
শুধুমাত্র কু’রআন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে যে বিজ্ঞানে PhD করা যায় তার কিছু উদাহরণ দেখুনঃ
_http://www.youtube.com/playlist?list=PLD27509EA7EE1FD7C&feature=plcp
কু’রআন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই ভদ্রলোক ভূমিকম্প প্রতিরোধক বাড়ি ডিজাইন করেছেন।
আর কু’রআনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে আমার যে কথা কোটেশন দিয়েছেন – সেটা ঠিক মত বুঝে বলুন। আমি যে এত বড় একটা আর্টিকেল লিখেছি বিজ্ঞান এবং যুক্তি ব্যবহার করে, সেটাই আপনার বোঝার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত ছিল যে আপনি অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট করছেন।
Excellent!
dekhun ei prithibete onek scientist, philosopher, politician eshechilo kintoo tara chirosthai bhabe beche thakte parini. Manusher Jodi etoi khomota tahole keno ei ponditera beche thakte parlo na. Eikhanei shristir rohosho. Srishtikorta achen jinni shob kichoor niontrok. Sheita bishash thakte hobe. Apnee jotoi pondit hon na keno, morte apnake hobei. Ektee gari okejo hoe gele ta thik kora jai. karon gari toiri korar skill manusher achea. Kintoo manush okejo hoea gel ba mara gele ta manusher khomota nei poonorjonmo deoa , na kono scientist, philosopher or any one in this world. Tai dhormo namok shobtoti bar bar use na kore nijer ostitto ke nea chinto korun. Answer pea jaben beshi dur jete hobe na. Apner eshechilen shishoo hea ekhon hoito modhoboyoshi tarpor hoben bridho abong ekdin ei matir shathei bilin hoea jaben. tokhon dhormo namok shobdo dia jukti dekhanor shoktio thakbena. tai eto proshno na kore allah ke bishash korun abong take shoron korun. Er chaite kollankor kaj kichui nei. Apnar abong shobar jonnoi bhalo. Amar jonno.
Thanks for this nice post.
গতকাল রাত ৯টার দিকে ফেসবুকের কোন একজনের শেয়ার করা লিংক থেকে আপনার ব্লগে আসলাম, পড়া শুরু করলাম, এখন দুপুর ১:৪৭ বাজে, এখনো অনেক কিছু পড়া বাকি, আমি আমার জীবনেও একটানা এতো লম্বা সময় কোন জিনিস পড়ি নাই
ধন্যবাদ, শুনে খুবই অনুপ্রাণিত হলাম।
হা হা হা। আমিও কাল সন্ধায় পড়া শুরু করেছি আর আজ সন্ধ্যা হলো বলে। কিন্তু এখন ও শেষ করতে পারি নাই। কতগুলো আর্টিকেল বাঁকি আছে তাও জানিনা। তবে সবগুলো আর্টিকেল পড়া শেষ না করে ছাড়ছি না। কাজ হল, শুয়ে শুয়ে পড়া, খাওয়া+গোসল আর নামাজ। কিছুক্ষণ পরপর চা গরম করে খাওয়া।
আরবী ভাষা জানিনা তাই কোরানের অর্থ বুঝিনা এটা একটা বড় কষ্ট যদিও অনুবাদ পড়ে কোরান বুঝার চেষ্টা করি। আর ইংলিশে দক্ষতা কম তাই ইংলিশ আর্টিক্যাল গুলো পড়ে মজা পাইনা যদিও সেগুলো অনেক অনেক গুরুত্বপুর্ণ। এই দুইটা ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে খুবই ভাল হত। কোন উপায় জানা আছে কি আপনার?
ও হ্যাঁ, লেখা গুলো কিন্তু চম-মৎ কা-আ-র! রিয়েলি।
দু এক জন ফালতু সমালোচক বাদে এত্তোগুলো ‘আমাদের’ কথা ভেবে বিপুল উৎসাহে চালিয়ে যান ব্রাদার।
ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে আগ্রহ পেলাম।
Thanks Omar for your nice research based article, May Allah give you ‘Tafique’ research on True Islam.
masallah, Aponake onek jajak allah khaier
atto informative and descriptive leker jonno. .
Apni likhechen valo-khrap shob kichui ALLAH’r pokkho theke. Kintu ALLAH bolechen, “Whatever of good reaches u, is from ALLAH; but whatever comes to u of evil, is from yourself.” (Sura Nisa’ 4:79). Kindly etar 1tu bekkha den. Arekta kotha apni prothom dike ‘banor theke bibortoner maddhome manush’ bole ki bojhate chaichen? Apni ki bishash koren ‘banor theke manush hoise?’ Apnar postgula MashALLAH onek valo…. Apnar ki fb account ache, tahole amk frndship request pathien. Amr e-mail id to janen e….
আপনি এর বিস্তারিত উত্তর এখানে পাবেনঃ
http://islamqa.info/en/ref/124504
সংক্ষেপে বললে, ধরুন আপনার বাসায় বাজ পড়ে বাড়ি আগুনে পুড়ে গেলো। এটা কে করলো? আপনি? না আল্লাহ্?
আবার ধরুন, আপনি অফিসের সব টাকা মেরে দিয়ে সবাইকে পথে বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেলেন। এটা কে করলো? আপনি? না আল্লাহ্? আল্লাহ্ যদি না চাইতেন, আপনি সেটা করতে পারতেন?
সুতরাং, সব খারাপ ঘটনা দুই ভাবে হয় – ১) শুধুই আল্লাহ্র ইচ্ছায়, যেখানে আপনার কোনোই হাত নেই – যেমন বাজ পড়া, মুসলমানদের যুদ্ধে হেরে যাওয়া, আপনার কাছের কেউ মারা যাওয়া ২) আপনার ইচ্ছায় এবং আল্লাহ্র অনুমতিতে, যেমন আপনি অফিসের টাকা মেরে দেওয়া। আপনি শুধু ইচ্ছা করলেই হতো না, আল্লাহ্র আপনাকে সেই পাপ করার অনুমতি এবং ব্যবস্থা দিতে হতো। আল্লাহ্ যদি অফিসটা না দিতেন, কোম্পানির আয় না দিতেন, আপনাকে অফিসে চাকরি না দিতেন, তাহলে আপনি কোনোদিন সেই অফিদের টাকা মেরে দিতে পারতেন না।
বানর থেকে মানুষ – এটা ব্যাঙ্গ করে বলা। বিবর্তনবাদের (macroevolution) পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। বহু নোবেল প্রাইজ বিজয়ী বিজ্ঞানীরাও বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেন না। Microevolution এর পক্ষে প্রমাণ আছে, কিন্তু সেটা বানর থেকে মানুষ হওয়া নয়, বরং প্রাণীর দেহে ছোটখাটো পরিবর্তন হওয়া সমর্থন করে।
জাযাকাল্লাহু খইরান… ভাই… it was really a wholesome article 🙂
আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া আমি ৩ বছর যাবত fb ব্যবহার করি কিন্তু কখনো এই টাইপ এর লেখা পাইনি , আপনার এই লেখা গুলো পড়ে আমি অনেক উপকৃত , আনান্দিত ( ইসলাম কে নিয়া ভাবার মানুষ আছে ), দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেন, আপনি চালিয়ে যান ।
ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনাকে ইসলাম সম্পর্কে জানার আরও আগ্রহ দিন, দু’আ করি।
আল-হামদুলিল্লাহ এবং অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার এই বিগত জীবনের নানা ধরনের বিতর্কিত ঘুর-পাক খাওয়া ভিত্তি প্রস্তরহীন প্রশ্নের উত্তরগুলো যথাযথভাবে জানতে পারলাম এবং সেই সাথে উত্তরগুলি যুক্তিসংগত বলে বিশ্বাস হয়েছে। ধন্যবাদ আবারো যে আপনি আমিসহ অনেকের ভ্রান্তধারনাগুলি দূর করতে পেরেছেন। আস-সালামু-আলাইকুম।
ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম, আমারও একই মত। আল্লাহ তাঁকে আরও জ্ঞানদান করুণ।
How can i get your regular post…….i tried, but can’t follow or like your blog.
উপরে ডান দিকে ফলো করার একটা অপশন আছে। আমার ফেইসবুক প্রোফাইল ফলো করতে পারেন।
মহান আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুণ, আপনার মাধ্যকে আমি অনেক কিছু শিখলাম-জানলাম। আমার মতো আরও অনেক মানুষ যেন আপনার লেখা থেকে স্বচ্ছ ধারনা পায়।
জনাব উত্তর দাতা,
আমি আপনার লেখা পড়ে খুবই খুশী হয়েছি। আপনি অনেক জানেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আসলে কোরআনের জ্ঞান যার নেই তার জ্ঞান বৃথা। আপনি কোরআনের আলোকে খুবই সচতুরভাবে যুক্তিসহ উত্তর দিতে সক্ষম। আমার একটা বিষয় জানার ছিল যদিও তা নেহায়াতই ব্যক্তিগত বিষয়। আমার বিয়ের বিষয়ে। আমি ২০০৫ সালে বিয়ে করি তবে বিয়ের জন্য পাত্রী পছন্দ করেন আমার পিতামাতা। আমি বিয়ের অনেক আগেই থেকেই নামাযে আল্লাহকে বলতাম আমি কেমন মেয়ে চাই কিন্তু বাস্তবে পিতামাতার পছন্দের কারনে আমি আজ খুবই মর্মাহত একজন মানুষ। আমি নিজে পছন্দ করে বিয়ে করিনি কারন আমার বড় ভাই তার পছন্দে বিয়ে করার পর আমার মা সামান্য কারনে বড় ভাবীকে তিরস্কার করতো। আমি এই ভয়েই নিজে পছন্দ করার চেয়ে তাদের পছন্দ করা বউকে মানার আগ্রহ দেখিয়েছি তবে মা-কে বলেছিলাম যে মেয়েটি যেন মোটা (আগা গোড়া সমান না) বা ফিগার ধারী হয় ৩৬-৩০-৪০ (মা কে এভাবে বলিনি আপনাকে বলছি মাত্র), সব খুলে বলতে না পারলেও বলেছি হাত পায়ের গোছা যেন মোটা হয় কারন চিকন মেয়ে আমার পছন্দ ছিল না কখনো। ভাগ্য খারাপ থাকলে যা হয় আমার মা ১০ ভরি সোনার লোভে (আমার বড় ভাবী কোন কিছু সাথে না আনায় মা ভাবীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিল দেখ আমি এই চেলের বউ এর সাথে ঠিকই সোনা নিয়ে আসবো) গ্রামের এক মুখ সুন্দরী চিকন মেয়েকে পছন্দ করে এবং তারা মনে মনে মতলব করেই রেখেছিল যে আমি পছন্দ করা মাত্র আংটি পড়িয়ে রাখবে (আমি এসব পরে জেনেছি)। আমি চাকুরী থেকে এসেই আমাকে পাত্রী দেখাতে নিয়ে যাবে এমন সময় আমার পিতা বলল “তুই যদি এই মেয়েকে বিয়ে না করিস তবে তোর জন্য আমি আর কোন মেয়ে দেখতে পারবো না”। আমিতো আক্কেল গুড়ুম বলে কিরে! আমি মেয়েটিকে দেখলামই না আর আব্বা এখনই এ কথা বলে! যা হোক গেলাম দেখতে , আগেই বলেছি মেয়েটির মুখ সুন্দর, মেয়েটিকে দেখে আমি বল্লাম “সুন্দর আছে”। এই কথা বলা মাত্র ২০০ কিমি বেগে ঝড় হল আমার পিতা ঐ বাড়িতেই আবার আগের কথা পুনঃরায় বল্লেন। আমি মাকে বল্লাম মা আমি একটি মেযেকে পছন্দ করেছি ঐটাকে দেখে পরে তোমরা এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিও। মা কি শোনে আমার কথা ১০ ভরি বলে কথা। ছি ছি আমার মা বাবা এত নিচে নামবে আজ ভাবতেও কষ্ট হয়। আমি বললাম বাবা মার কারনে আমার একজীবন কোরবানী করলাম। বাস বিয়ে হয়ে গেল প্রথম গমনেই ধাক্কা মনটা খারাপ হলো কি করার এভাবেই আছি তবে মনে শান্তি নেই, আমার গুপ্ত বাসনা আজো মনে বাসা বেধে আছে আর আমি পাপ করেই যাচ্ছি। নামায পরি গোনাহ করি আল্লাহর কাছে মাফ চাই তওবা করি এ নিয়েই বেচে আছি বলুন আমি কি অপরাধী?
আমি কোনো ফিকহ অভিজ্ঞ নই, কোনো কাউন্সিলরও নই, তাই এই ধরনের ব্যাপারে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমি আপনাকে কোনো সমাধান দিতে পারব না, কিন্তু কিছু চিন্তার খোরাক দিতে পারি।
আপনি আপনার স্ত্রীর দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করুন আজকে তিনি কি অসহায় একটি পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তার কি ইচ্ছা ছিল না বিয়ে করে এমন একজন নিবেদিত স্বামী পাওয়ার, যে তাকে জীবন দিয়ে ভালবাসবে? তার কি ইচ্ছা করে না এমন কারও কাছে যেতে যে তাকে সুখী করতে পারবে? তার কি দোষ ছিল যে তার বাবা-মা দশ ভরি সোনার বিনিময়ে তাকে এমন একটা লোকের কাছে বিক্রি করে দিলো, যে তাকে আসলে চায় না? সে যখন কিয়ামতের দিনে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করবে তার বাবা-মা এবং স্বামীর বিরুদ্ধে: তার জীবনটাকে নিয়ে খেলার জন্য, এবং তার সাথে এত বড় প্রতারণা করার জন্য — তখন কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে ভেবে দেখেছেন?
আমি আপনাকে দুটো কু’রআনের আয়াত দিবো গভীরভাবে চিন্তা করে দেখার জন্য—
আমার এক ভারতীয় বন্ধু আমাকে জিগ্গাসা করেছে আল্লাহ তায়ালা নিজে থেকে কেন তাকে pray করতে বলে ?? সে বলে যে আল্লাহ তায়ালার কি কিছু দাস প্রয়োজন ছিলো ?? ( নাউজুবিল্লাহ )
খুব সম্ভবত আপনার ভারতীয় বন্ধুটি হিন্দু, তাই তাদের ধারণা অনুসারে উপাসনা আর আমাদের ইবাদাতের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। আমরা ইবাদাত করি আল্লাহর সাথে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করার জন্য, নিজেদের ভেতরে কিছু গুণ তৈরি করার জন্য। ধৈর্য, সংযম, আত্মমগ্নটা ইত্যাদি মানসিক গুণ উন্নত করার জন্য। নিজেদের জীবনে শৃঙ্খলা আনার জন্য। অন্য কোনো ধর্মের উপাসনা এই সবগুলো গুণ মানুষের ভেতরে তৈরি করে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে একজন মানুষের ভেতরে যে পরিমাণ সময় সচেতনতা, শৃঙ্খলা, পরিকল্পনা, টাইম ম্যানেজমেন্ট-এর ক্ষমতা তৈরি হয়, তা দিনে একবার পূজা করলে, বা সপ্তাহে একবার চার্চে গেলে হয় না।
আপনার বন্ধুর বক্তব্য হচ্ছে উপাসনার দরকার আসলে প্রভুর, আমাদের দরকার নেই। এটা ভুল ধারণা। একজন সৃষ্টিকর্তার তার সৃষ্টির কাছ থেকে কিছুই দরকার থাকার কথা নয়। কারণ তাহলে আর সে সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞা অনুসারে অমুখাপেক্ষী থাকে না। সে তখন গ্রীকদের গডদের মতো ফালতু গডের ধারণা হয়ে যায়, যাদের ক্ষমতা বাড়ে কমে তাদের অনুসারীদের সংখ্যা অনুসারে।
প্রার্থনার কত সাইকোলজিক্যাল উপকারিতা আছে তা জানতে নিচের আর্টিকেলগুলো দেখুন—
http://www.psychologytoday.com/blog/more-mortal/201406/5-reasons-pray-1
http://www.psychologytoday.com/blog/ethics-everyone/201305/does-prayer-have-point
প্রশ্ন নাম্বার ১।
আমার জানামতে অধিকাংশ নবী ও রসূল এসেছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
পৃথিবীর অন্যান্য মহাদেশে বা আমাদের ভারত উপমহাদেশের মত প্রাচিন জনপথগুলোতে কি তাহলে উল্লেখযোগ্য কোন নবী বা রাসুল আসেননি !
যদি না এসে থাকেন তা কি কারনে ?
প্রশ্ন নাম্বার ২।
আমি জন্ম সূত্রে একজন মুসলিম।
আল্লাহ্ এবং নবীর দেখান পথে আমি আমার জীবন পরিচালিত না করার দরুন আমি শাস্তির সম্মুখীন হব। কিন্তু আমার মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করার কারনে আমার ইসলামের পথে জীবন পরিচালিত করার সুযোগ ও সম্ভাবনা বেশী বলে আমি মনে করি।
তাহলে অন্য একজন মানুষ যার জন্ম অমুসলিম পরিবারে এবং যার ইসলামের পথে আসতে হলে কষ্ট করে সত্য অনুসন্ধান করে তবেই আসতে হবে। তার মানে, তার ইসলামের পথে জীবন পরিচালিত করার সুযোগ ও সম্ভাবনা আমার থেকে অনেক কম ।
আই বৈষম্য কেন !
যদি ধরেও নেই যে সে সত্য অনুসন্ধান করে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসলে আমার অধিক নেকী ও মর্যাদা লাভ করবে তারপরও পরীক্ষাটি তার জন্য কঠিন বা বৈষম্যমুলক হয়ে যায় না কি!
প্রশ্ন নাম্বার ৩।
সুইডেন, নরওয়ে প্রভৃতি দেশে কয়েক মাস সূর্য অস্ত হয় না, এবার কখনো সূর্য উদয় হয় না।
মানে, আমাদের দেশের মত বা পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মত নিয়ম মেনে দিন-রাত হয় না।
ঐ সকল দেশে নামাজ ও রোজার সময় কীরূপে নির্ধারিত হয়ে থাকে ?
আপনার প্রশ্নের উওর পেলে, জানাবেন।
সর্ব শক্তিমান সৃষ্টি কর্তা কি জেনেশুনে কোন প্রাণ তৈরি করে যে পরে তাঁর অবাধ্য হবে?
আল্লাহ কি জানত না শয়তান অবাধ্য হবে?
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ অমুসলিম কেন? তাদের রিজীক মুসলমানদের চেয়ে ভাল
কেন?
ভাই আপনার লেখা গুলো আমার কাছে ভাল লেগেছে
কিছু সমস্যা বললাম যা নিয়ে আটিকেল লেখলে ভালো লাগবে
1 ইসলাম এ রাজনীতি মেয়ে লোক করা কি জায়েজ
২ আল্লাহ সম্পর্কে বেশী জানতে চাওয়া কি সিমালংগন
৩ আবদুল কাদের জিলানি র: বরো পির হলেন কেমনে
৪ ইসলাম যাদুকে সত্য বলে মানে….. কারন মহানবি নিজেও জাদুতে আকরানতো হয়ে ছিলেন .কিন্তুু যাদু জিনিস টা কি
৫ পযুকতি আসার কারনে কিছু পাপ আমাদের হয় সেটা কি করার
যেমন টিভি দেখা
রবিঊল ইমন 01930207827
এই প্রশ্নগুলো উত্তর আপনি ফাতয়া ওয়েবসাইটগুলোতে পাবেন। দেখুন: islamqa.com
আসসালামু আলাইকুম৷
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের article লেখার জন্য, যেটা অত্যন্ত যুক্তিনির্ভর এবং যেকোনো শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগী (হিন্দু, খ্রীষ্টান, নাস্তিক ইত্যাদি)৷
সত্যি কথা বলতে আমি অতি নিম্নমানের একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ৷ (“চিন্তাবিদ” শব্দটা মনে হচ্ছে আমার সাথে ঠিক যায় না, তারপরেও লিখলাম কারণ যথোপযুক্ত কোন শব্দ মনে পড়ল না)৷
ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত৷
তারপরেও বন্ধুমহলে এবং facebook-এ ইসলাম সম্পর্কে কোন ভুল ধারণা বা অপব্যাখ্যা পেলে সামর্থ্য অনুযায়ী সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করি৷
তাই বন্ধুদের কাছ থেকেও কিছু প্রশ্ন পাই এবং আল্লাহ্’র রহমতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি৷
যেহেতু আমার জ্ঞান সীমিত তাই কখনো কখনো Google এ search করতে হয়৷ সেরকম একটা প্রশ্নের উত্তর search করতে যেয়ে আপনার page-টা পেলাম এবং অনেক কিছু জানতে পারলাম৷
আমি ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কেও জানতে চাই৷
আপনি কি আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করবেন?
আমার অনেক কিছু বলার আছে৷ Email বা অন্য মাধ্যমে যোগাযোগ করলে খুবই উপকৃত হব৷
ধন্যবাদ৷
আসসালামু আলাইকুম৷
ওয়ালাইকুম আসসালাম, অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার প্রশ্নগুলো আমাকে ফেইসবুকে ম্যাসেজ করে দিতে পারেন। আমি উত্তর খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করবো, ইন শাআ আল্লাহ ﷻ
আপনার facebook account টা কিভাবে পেতে পারি?
https://www.facebook.com/omar.al.zabir
আল্লাহ তালা আজ তেকে ১৫ টি বছর দরে আমাকে এত কষ্ট দিচ্চেন কেন আমি জানিনা শুধু এটাই বলবো যে যদি আল্লাহ তাকেন তাহলে আমার এই কষ্ট এক দিন শুকে পরিনত হবে।
Well done arclite that. I’ll make sure to use it wisely.
Assalamu Alaikum. Thank you very much for publishing such type of article. I have no facebook account. I do not use facebook. Is there any other way to get your new articles?
walaikum assalam, I have stopped writing article on this blog. Please see http://quranerkotha.com for recent work.
nice post.
আমি মুসলিম । বাট কিছু প্রশ্ন আমার FAITH কমিয়ে দিচ্ছে।পিজ হেল্প মি।
১) মুসলিম রা কেন গরিব , আল্লাহ কি সব সম্পদ বিল গেটস , বাফেট দের দেয় , নাকি তারা অরজ্জন করে নিছে আমরা পারিনি
২) আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ill educated or uneducated. আল্লাহ কি আমদের অশিক্ষিত রেখেছ ,অনেকে বলে আল্লাহ যাকে যা দিয়েছে
৩) মুসলিম রা মার খায় , কিন্তু আল্লাহ কোন স্টেপ নেয় না কেন
৪)মুসলিম রা কেন বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে অনগ্রসর
আমার মনে হয় আপনার প্রথম সমস্যা হচ্ছে ‘মুসলিম’ বলতে কাকে বোঝায় সেটা পরিষ্কার করা। কারো নাম আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ, ফাতিমা হলেই সে মুসলিম হয়ে যায় না। সে মুসলিম জাতির উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে যায় না। বরং বেশিরভাগ আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ, ফাতিমা মুসলিম নামের কলঙ্ক।
এবার আপনার প্রশ্নগুলোতে আসি—
১) আপনি সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া গিয়েছেন কি? মুসলিম বিত্তবানদের তালিকা আপনার কাছে আছে কি?
২) বাংলাদেশের মানুষ কি করলো তাতে মুসলিম জাতির কী যায় আসে? বাংলাদেশ কি মুসলিম জাতির উজ্জ্বল নিদর্শন? বাংলাদেশের তথাকথিত মুসলিমরা কি সত্যিই মুসলিম জাতির প্রতিনিধি?
৩-৪) এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আর্টিকেলে রয়েছে। আপনাকে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব আবারো পড়ার অনুরোধ রইল।
please dont mind and help me in case of DEEN. 1) If God exists,why are people especially Muslims are extremely poor.২) Why do Allaah create Non Muslims,whats their fault,how they get light of Islaam. 3) 7 billion people today in world but 1.4 billion Muslims and of them some crore are practicing Muslims. so, 5.5 billion +/- will go hellfire, is not illogical? Allah create human being for putting hell but He is most merciful. 4) If outcome is known,why test. 5) Allah is protector but why Afgan,palestine believers are tortured by kafir,why do not Allah protect and help them 6)why non hindu,chirdt,buddhist will accept Islam leaving their own religion because every one has a intrinsic attraction of his own religion?? 7) if a 5 year girl is raped, why God dont protect her. 8) no one want to be prostitute except civilized prostitute, if she get food, she didnt go that profession, 9) Non muslims are more civilized, educated and ethical while Bangladesh has become champion in corruption. 10) God is merciful but most will go hell.its not contradictory 11) why God dont give hedayet to all?? Jajak Allah khayran
Brother, I will show you a process of finding answer yourself. This process is called 5-whys, which is invented by Mr. Toyoda, the genius inventor and founder of Toyota. It is a process that helps us find the root cause of any problem.
Here’s an example:
Problem: The vehicle will not start.
Why? – The battery is dead. (first why)
Why? – The alternator is not functioning. (second why)
Why? – The alternator belt has broken. (third why)
Why? – The alternator belt was well beyond its useful service life and not replaced. (fourth why)
Why? – The vehicle was not maintained according to the recommended service schedule. (fifth why, a root cause)
So, apply this technique and find the root cause of these problems you have raised. I will attempt to show you some examples. However, I must emphasize that, the questions you have presented are already answered in my two part article.
1) If God exists,why are people especially Muslims are extremely poor.
Problem: people are poor.
1) Why? Because people do not have money to sustain themselves.
2) Why? Because they have no mean to earn money.
3) Why? Because no system exists to balance wealth and prevent uncontrolled consumption of wealth by the rich.
4) Why? Because capitalism has been made the standard economic system. Capitalism is designed to make rich richer, poor pooer.
5) Why? Because of uncontrolled greed. Greed resulted in Capitalism.
২) Why do Allaah create Non Muslims,whats their fault,how they get light of Islaam.
Your question is flawed. Allaah does not create non-muslims. Allah created man as Muslim. The first man Adam was a muslim. His sons were muslims. Somewhere down the path, someone, driven by his base desires, disobeyed Allaah and chose his own religion. He gave birth to his progeny, made them follow his own madeup religion. They were sent messenger, with very convincing message. They saw amazing miracles with their own eyes. Yet, some of them decided to stick to pride, arrogance, greed, lust, murder and all forms of heinous crimes. They forced other people to convert to their ways. They gave birth to their progeny and the process continued and we ended up with non-muslims around the world.
Now, why is it a fault to be non-muslim? Who told you that non-muslims are at fault for being born as non-muslim?
Every non muslim is either going to become a muslim in this world or the hereafter, or will become a rejecter of truth in this world or in the hereafter, even after witnessing the truth. So, I would say non-muslims are actually lucky that when they will become a muslim in this world, they will get their slate wiped clean, all sins forgiven. Muslims should be jealous of this.
Those who will not get proper opportunity to learn the true teachings of Islam in this world, in the afterlife, Allaah will give them a fair test to show themselves and others whether they would have become muslims, if they were to receive true teachings of Islam in this world. If they deny at that point, then it is their fault. They deserve punishment. If they don’t, they go to heaven as muslim. So lucky!
3) 7 billion people today in world but 1.4 billion Muslims and of them some crore are practicing Muslims. so, 5.5 billion +/- will go hellfire, is not illogical? Allah create human being for putting hell but He is most merciful.
Who told you they will go to hell? Are you receiving revelation from Allaah about the non-muslims who are going to hell?
No where in the Quran says, non-muslism will go to hell. Quran says Kaafirs, the staunch rejecter of truth even after realizing the truth, will go to Hell. Kaafir and non-muslims are two different categories.
4) If outcome is known,why test.
To show the justification for the outcome. What will you do if you were created and put on hell immediately? Wouldn’t you question why am I in hell when I have just been created? Wouldn’t you demand justification why your neighbour is in Heaven? What did he do to earn that?
5) Allah is protector but why Afgan,palestine believers are tortured by kafir,why do not Allah protect and help them.
OK, so what do you want Allaah to do? Everytime a bomber plane takes off, its engine will shut down automatically and fall from the sky? Every time army tries to shoot at muslims, their guns will malfunction? Every time some leader tries to authorize attack on the muslims, the leader will have a heart attack and die?
So, you want Allaah to forcefully prevent people from doing anything bad to muslims?
That means you want Allaah to take away free-will from man?
Therefore, you want Allaah to make Human as Angels?
There’s already Angels.
Human were not created to duplicate Angels.
6)why non hindu,chirdt,buddhist will accept Islam leaving their own religion because every one has a intrinsic attraction of his own religion??
Why don’t you read the biography of hindus, christians and buddhists who have become Muslim? That will be eye-opener for you.
If someone does not find a disturbing looking, black skinned, nude female figure as their God, who is made by them and then thrown into river every year, then there’s something very wrong with their psychology.
If someone does not find a god’s male penis an object of worship (Shiv lingam), then they are really twisted in their thinking.
Some stories here: http://muslimconverts.com/converts/index.htm
7) if a 5 year girl is raped, why God dont protect her.
Same as 5.
8) no one want to be prostitute except civilized prostitute, if she get food, she didnt go that profession,
Same as 1.
9) Non muslims are more civilized, educated and ethical while Bangladesh has become champion in corruption.
What has Bangladesh got to do with Muslim civilization? Is Bangladesh a representation of Islam?
See how many things Muslims invented, how many branches of science they founded:
http://www.1001inventions.com/files/Awesome_Facts_Teachers_Guide_REL61212.pdf
Do you know about the dark age? It is an era when non-muslims, especially Christians were engrossed into darkness. It is when Muslims showed the whole world light, brought Christians nations out of their dark era.
10) God is merciful but most will go hell.its not contradictory 11) why God dont give hedayet to all?? Jajak Allah khayran
Same as 2, 3.
১) অনেকেই রিভার্ট করে ,অনেক অনুসন্ধান করার পরে , যা সবার পক্ষে সম্ভব না । কারন যে যে ধর্মে জন্মগ্রহণ করে সেটার প্রতি natural inclination থাকে । সে তার বিশ্বাস কে absolute ধরে নেয় এবং নিজের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস পায় না , কারন তার ধর্মে নিষেধ আছে । একজন দরিদ্র অশিক্ষিত কুসস্কারাচ্ছন্ন ভারতীয় হিন্দু কিভাবে সত্যের সন্ধান পাবে । by default মানুষ কুসস্কারাছন্ন এবং নিজের ধর্মের প্রতি sensitive.
2) মুসলিম দের এমন কি আছে যা দেখে অন্যরা মুগ্ধ হবে , এত sects , শিয়া , সুন্নি , মাযহাব কত কি। অথচ কুর’আন এক , আল্লাহ এক । আলেম ওলামদের মধ্যে কত ভাগ , দলাদলি । ভন্ড পীর ,দরবেশ
৩) দুনিয়ার সামান্য জীবনের জন্য অনন্তকাল শাস্তি , এটা কি নিষ্ঠুরতা নয় । এমন তো না মানুষ দুনিয়ায় অনেক কিছু পেয়েছে । এই দরিদ্র , অসহায় , দুর্বল ,অজ্ঞ মানুষদের কে এত কঠিন শাস্তি দিয়ে কি লাভ আল্লাহর ।
৪) অধিকাংশ মানুষ শান্তিকামি , সামাজিক , হেল্পফুল । এরা আল্লাহ দ্রোহী বা খুনী বা বড় অপরাধী তা নয় , কিনু অন্য ধর্ম জন্মের কারণে তারা তাদের ধর্ম পালন করে বা করে না । যা আমাদের চোখে শিরক , তা তাদের কাছে স্বাভাবিক , হয়ত তারা বোঝে না , সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে চলছে । তাই বলে তাদের eternal hell fire
5) মানুষের ই বা কি দোষ তাকে মোহ , শয়তান দিয়ে দেয়া হয়েছে । শয়তান অমান্য করেছে তাতে আমাদের কি , শতানের উপর রাগ করে আল্লাহ কেন আমদের পিছু লাগিয়ে দিলেন । আদি পিতা মাতা ভুলের দায়ে আমরা কেন দুনিয়াতে আসব । আল্লাহ তো জানতেন এই শয়তান একদিন তাকে অমান্য করবে , তাহলে শয়তান কেন বানালেন , এগুলো আল্লাহর planned game হয় ।
৬) আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত দেন , যাকে ইচ্ছা দেন না । তাহলে মানুষ চেষ্টা করলেও হেদায়েত পাবে না ।
৭) আমরা কাফিরদের দেশে জীবিকা নির্বাহের জন্য যাই , তাদের গুগল , ফেসবুক , আবিষ্কার আমারা ব্যবহার করি , এটা কি আমাদের inferiority নয় । আল্লাহ চাইওলে এসব আমাদের দিয়ে করাতে পারতেন ।
8) most of the Muslims are Muslim by chance Muslim . যারা জুম্মাবারের মুসলিম তাদের আর non Muslim দের পার্থক্য কি । যদি non Muslim রা বাই বর্ন মুসলিম হত , তাহলে তারাও জুম্মা বারের মুসল্লি হত । জুম্মাবারের মুসল্লি দের সাথে সব করা যাবে কিন্তু অমুসলিমদের সাথে যাবে না , যেমান তাদের হাতের রান্না , বিয়ে ইত্যাদি
৯) এই দুর্বল , অসহায় জালেম মানুষের ইবাদাতের কি দরকার আল্লাহর , তিনি তো অভাবমুক্ত , omnipotent , ever lasting .
10) মুসলিম রা আল্লাহর ইবাদাত করে না ঠিকমত, কিছু মুসলিম ছাড়া । আবার , কাফির রা জাহান্নমে যাবে । তাহলে জানাতে যাবে কারা । অধিকাংশ মানুষ আল্লাহ এর ইবাদাত করে না , তাহলে আল্লহর মানুষ বানানোর purpose ব্যর্থ হয়ে গেল না । কারন তিনি আমাদের বানালেন ইবাদাতের জন্য ।আর এ দিক থেকে শয়তান কি সাকসেসফুল হয়ে গেল না ।
১১) এককথায় ও সহজে clear cut and straight forward কোন যুক্তি আছে আমি কেন Creator এ বিশ্বাস করব এবং কেন হযরত মুহম্মদ সাঃ কে নবী মানব এবং কুরআন কে আল্লাহর বানী মানব। সুর্যের আলো উঠলে কেউ অস্বীকার করে না , তেমনি এমন প্রমান যা কেউ অস্বীকার করতে পার বে । বিভিন্ন site e দেখলাম literary miracle, linguistic miracle , science এগুলো অনেক চিন্তা ভাবনার বিষয় এবং debatable.
১২) আগে ভাবতাম ধর্ম গম্ভীর , মোল্লা দের কাজ । কিন্তু আবার দেখি উচ্চ শিক্ষিত phd ধারীরা , ডক্টর রা ও practicing Muslim হয় । আগে ভাবতাম সমাজ এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে । কিনু এখন ভাবি এসবে লাভ কি কারণ i have returned to almighty Allah one day . আবার ভাবি জীবনের purpose কি , ভার্সিটি তে পড়লাম , একটা চাকরি পেলাম এই । না তা হতে পারে না । HEREAFTER এ কী হয় , কেণ হয় , কে আমাদের বানালেন , কেন বানালেন । আবার আরেক তা মনে এসব অবাস্তব মনে হয় । ভাবি সবাই জাহান্নামে গেলে আমি যাব , তার কি । অধিকাংশ মানুষের কিছু না হলে আমার ও লিছু হবে না । একটা inner conflict এ আছি , । ভাল মুসলিম হতে মন চায় , কিন্তু আবার এসব প্রশ্ন মাথায় ঢোকে না ,বুঝি না। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি কি অন্যদিকে ঝুকে পড়ছি , সবাই চলছে স্রোতের সাথে আর আমি কি স্রোতের বিপরীতে যাচ্ছি । আবার death এর কথা ভাবলে খারাপ লাগে , আমি মরার সাথে সাথে পোকা মাকড়ের খারাপ হব, মাটির সাথে মিশে যাব এটা ত হতে পারে না । তাহলে good deed আর bad deed এর কি দরকার । এসব ভাবাচ্ছে আমাকে । এসব conflict কিভাবে দূর করতে পারি । আচ্ছা , আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা কএই , আপনি বা আপনারা এমন কি touch stone পেয়েছেন বা কিসের উপর ভিত্তি করে FAITH কে আঁকড়ে রেখেছেন , এসব প্রশ্ন আপনাদের মনে আসে না বা disbelieve এর পথে নিয়ে যায় না । How can I be a good Muslim and believe firmly .
13) এই দুর্বল , অজ্ঞ মানুষ গুলো কিভাবে আল্লাহ কে অস্বীকার করতে পারে ভাবতে অবাক লাগে ।
14) একজন সন্তান যতই অপরাধ করে মা তাকে আগুনে দিতে পারে না , কিন্তু আল্লাহ তার ভালবাসার সৃষ্টি কে কিভাবে এমন করবেন । মাঝে মাঝে মনে আল্লাহ মানুষকে কোন রাগ নিয়ে বানিয়েছেন । আমার মনে হয় আল্লাহ যদি কেউ কে guide করতেন , তাহলে সয়াবি ভাল কাজ করত বা এমন Fitrah দিতেন যা external influences এ destroy হয় না । বা রাসুলুল্লাহ সাঃ কে ১০০ বছর হায়াত দিতেন তাহলে মনে হয় সয়াবি মুসলিম হয়ে যেত কারণ তিনি ছিলেন most influential person.
“আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা কএই , আপনি বা আপনারা এমন কি touch stone পেয়েছেন বা কিসের উপর ভিত্তি করে FAITH কে আঁকড়ে রেখেছেন , এসব প্রশ্ন আপনাদের মনে আসে না বা disbelieve এর পথে নিয়ে যায় না । How can I be a good Muslim and believe firmly .”
————–
You brother is what I called ‘A thoughtful person’. and this is what Allah wants. Can not give reply in one topic or article. To answer or to have an ‘intellectual’ discussion specifically to your all types of philosophical questions need 10 articles of 20 minutes read. But InshaaAllah I will try in few sentences the nut shell.
1. Write down your questions and thoughts by dates.
2. Try to define your questions and ideas, philosophical or factual
You START NOW.
DO NOT WASTE a single minute doing other than whatever you have to do to FEED your STOMACH (for livelihood)
Know Allah’s administration, HIS kingdom. Forget about what you know is ‘islam’. Contemplate on Quran, on each aya. Take any sura from anywhere. I don’t mean take a tafsir and read it. No. THINK about each aya. Read 3/4 aya in every Fajr before sunrise. Take note what you think is that aya about?
Then listen Quran Arabic with good translations few ayat at a time only. Don’t move to next groups of ayat until you capture or take note the listened ayat.
Then Read Authentic Hadith. INTEND to finish at least ONE Hadith book in 2 years time! Say attempt to finish entire BUKHARI in 2/3 years time. Read 2/3 Hadith a day minimum and TAKE NOTE.
Read or listen to Seera of Rasulullah Sallillahu Alaihi WaSallam. The BEST one is the listen to by Anwar Al Awlaki.
All these you do only to OBEY Allah, to know HIS instructions for your life. Just only that intention. You will find, what to do or how to be FIRM In shaa Allah.
May Allah make you firm and make DUA for me when Allah turn you fully to HIS guidance InshaaAllah.
As Salamu Alaikum brother,
This is another proof that Believer has ONE HEART and ONE MIND. I just showed part of your article to my family to prove that how believers think same even they do not have any connections. This is another proof that Allah gave HIS pure knowledge into the minds of the believers alike. SubhanAllah. May Allah give more lights in your heart and my brother be more careful about shayateen….May Allah protect us from shayateen. Ameen.
আত্মা তৈরি করার সময় আল্লাহ ইহার রীজিক, কর্ম,ভালো-মন্দ সব কিছু ঠিক করে দেয়। এই সব নির্ধারিত বিষয়ের বাইরে কেউ যেতে পারে না।
তা হলে কেউ মন্দ কাজ করলে সেটার জন্য দায়ী কে?